পর্যটনের অপার সম্ভাবনার দ্বার খ্যাত বাগেরহাটে আগের চেয়ে পর্যটকদের সমাগম বাড়তে শুরু করেছে। পদ্মা সেতুর উদ্বোধনের পরপরই এর সংখ্যা বাড়তে থাকে। ঈদুল আজহাকে ঘিরে বাগেরহাটের প্রতিটি পর্যটনকেন্দ্র সাজানো হয়েছে নতুনত্বের ছোঁয়ায়।
বাগেরহাটের পর্যটনকেন্দ্রগুলোর মধ্যে বিশ্ব ঐতিহ্য ষাটগম্বুজ মসজিদ, খানজাহান (র.) এর মাজার শরিফ ও সংলগ্ন দীঘিসহ নানান পুরাকীর্তি এবং বিশ্বের বৃহৎ ম্যানগ্রোভ বন সুন্দরবন অন্যতম। বর্তমানে সুন্দরবনের জীববৈচিত্র্য রক্ষার পাশাপাশি প্রাণী ও মাছের প্রজনন বৃদ্ধির জন্য সেখানে পর্যটক প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। তবে বিশ্ব ঐতিহ্য ষাটগম্বুজ মসজিদে ঈদের দিন থেকেই ব্যাপকহারে পর্যটকের আগমন লক্ষ্য করা গেছে।
এ বিষয়ে ষাটগম্বুজের কাস্টোডিয়ান (রক্ষণাবেক্ষণকারী) মো. জায়েদ বলেন, ১০ জুলাই ঈদের দিন থেকে ১২ জুলাই পর্যন্ত প্রতিদিন দর্শনার্থীর সংখ্যা বাড়ছে। তিনদিনে সর্বমোট ১০ হাজার ৮৮১ জন দর্শনার্থী এখানে প্রবেশ করেছে। যা বিগত বছরের তুলনায় অনেক বেশি এবং আশাব্যঞ্জক।
তিনি আরও বলেন, পদ্মা সেতুর দ্বার উন্মুক্ত হওয়ায় প্রত্যাশার থেকেও বেশি দর্শনার্থী এখানে আসতে শুরু করেছে। এতে বাগেরহাটের পর্যটন শিল্প আরও একধাপ এগিয়ে যাবে। পাশাপাশি সরকারের রাজস্ব আরও বাড়বে।
এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক আজিজুর রহমান বলেন, পর্যটন শিল্পের এবং পুরাকীর্তির শহর বাগেরহাটে প্রতিবছর যে পরিমাণ দর্শনার্থীর আগমন ঘটে, পদ্মা সেতু উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে তা কয়েকগুণ বেড়ে যাবে। যার কিছু আভাস আমরা এখনই দেখতে পাচ্ছি।
এদিকে বাগেরহাটের বেসরকারিভাবে গড়ে ওঠা বিনোদন কেন্দ্রেও প্রতিদিন দর্শনার্থীদের উপচেপড়া ভিড় রয়েছে। বাগেরহাটে বেসরকারিভাবে গড়ে ওঠা বারাকপুরে অবস্থিত সুন্দরবন রিসোর্ট ও পিকনিক কর্নার, শহরের দশানী পৌর পার্ক, চন্দ্রমহল ইকোপার্কেও ব্যাপক সংখ্যক পর্যটকদের উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে।
এ বিষয়ে সুন্দরবন রিসোর্ট ও পিকনিক কর্নারের সত্ত্বাধিকারী ডা. মোশাররফ হোসেন বলেন,পদ্মা সেতুর দ্বার উন্মোচন হওয়ায় আমাদেরও দর্শনার্থী বেড়েছে। পাশাপাশি শিশুদের বিভিন্ন ধরনের রাইড ও খেলনা থাকায় পার্কটি আরও আকর্ষণীয় হয়ে উঠেছে।