ডিজিটাল ডিভাইস হবে দেশের প্রধান রপ্তানি পণ্য :প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘তৈরি পোশাকের উপর আমাদের রপ্তানি নির্ভর। সেখানে আমি মনে করি ভবিষ্যতে এই পণ্যের মতো মেইড ইন বাংলাদেশ লেখা ডিজিটাল ডিভাইস দেশের প্রধান রপ্তানিযোগ্য পণ্য হবে। সেভাবে আমাদেরকে বিভিন্ন পদক্ষেপও নিতে হবে, কাজও করতে হবে।’

বুধবার (৭ জুলাই) তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) বিভাগের সম্মেলন কক্ষে বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষের বোর্ড অব গভর্নসের দ্বিতীয় সভায় গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে যুক্ত হয়ে এসব কথা বলেন তিনি।

এরই মধ্যে মোবাইল ফোন, ল্যাপটপ বাংলাদেশ থেকে রপ্তানি হচ্ছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘খ্যাতনামা ১৫টা কোম্পানি মোবাইল ফোন সেট এখানেই তৈরি করছে। তাতে আমাদের ব্যাপক কর্মসংস্থানের ব্যবস্থাও হচ্ছে। আবার বিদেশে রপ্তানি করে আমরা বৈদেশিক মুদ্রাও অর্জন করতে পারছি। যেহেতু মেইড ইন বাংলাদেশ লেখা আমাদের ফোন এবং ল্যাপটপ আজকে যে বিদেশে রপ্তানি হচ্ছে আমাদের দেশেরও সুনাম বাড়ছে এবং মানুষও আরও আকর্ষিত হচ্ছে কারণ সাউথ এশিয়া এবং সাউথ ইস্ট এশিয়াতেই একটা বিরাট মার্কেট রয়েছে।’

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ক্ষুধা, দারিদ্রমুক্ত স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ গড়ে তুলতে বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলারও তাগিদ দেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সব সময় দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে চায়। জাতির পিতা এদেশ স্বাধীন করেছিলেন দারিদ্র্যমুক্ত, ক্ষুধামুক্ত, উন্নত, সমৃদ্ধ সোনার বাংলা গড়ে তুলব- এটাই আমাদের লক্ষ্য। আর এই লক্ষ্য অর্জন করতে হলে বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়েই আমাদের চলতে হবে।’

আধুনিক প্রযুক্তি শিক্ষায় সরকারের নেওয়া নানা পদক্ষেপের কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘ডিজিটাল অর্থনীতির বিকাশে আমরা হাই-টেক পার্ক নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেই। আর সেই সিদ্ধান্ত গ্রহণের পেছনে সজীব ওয়াজেদ জয়েরই পরামর্শ ছিল।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘সারা দেশে ৯২টি হাই-টেক পার্ক, সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্ক বা আইটি ট্রেনিং অ্যান্ড ইনকিউবেশন সেন্টার স্থাপন করা হচ্ছে এবং স্কুল পর্যায় থেকেই কম্পিউটার শিক্ষা দেওয়া হচ্ছে। ৯টি পার্ক স্থাপনের কাজ এরই মধ্যে শেষ হয়েছে। হাই-টেক পার্কগুলোতে হার্ডওয়্যার-সফটওয়্যার নিয়ে কাজ করার জন্য ইতোমধ্যে ট্যাক্স মওকুফ, কাস্টম ডিউটি মওকুফসহ ১৪টি প্রণোদনা সুবিধাও দেওয়া হচ্ছে, যাতে আরও অধিক পরিমাণে দেশি বিদেশি বিনিয়োগ আসে।’

এসব পার্কে বেসরকারি উদ্যোগে ২০২১ সাল পর্যন্ত ৫৭০ কোটি টাকা বিনিয়োগ হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ২০২৫ সালের মধ্যে এসব কোম্পানিতে আরও ৮ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ হবে।

হাই-টেক পার্ক প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে বিনিয়োগ সম্ভাবনা বাড়ানোর পাশাপাশি ব্যাপক কর্মসংস্থানের জন্য পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘কারণ আমাদের যুব সমাজ আসলে তারা খুবই মেধাবী, একটু সুযোগের দরকার। সেই সুযোগটা পেলে তারা নতুন উদ্ভাবন করতে পারবে, যা আমাদের দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নেও কাজে লাগবে, আবার বিদেশেও তা পাঠাতে পারব। “আমাদের ছেলেমেয়েরাও দেশে বিদেশে কর্মসংস্থানের সুযোগ পাবে। সেই দিকে খেয়াল রেখে আমরা বিভিন্ন সুযোগ করে দিতে চাচ্ছি।”

ডিজিটাল অর্থনীতির বাস্তবতার কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘১৩ বছর আগে ডিজিটাল অর্থনীতির আকার ছিল মাত্র ২৬ মিলিয়ন ডলার। আর বর্তমানে তা ১ দশমিক ৪ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত হয়েছে। ২০২৫ সালে আইসিটি রপ্তানি ৫ বিলিয়ন ডলার এবং প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষ মানবসম্পদ তৈরির মাধ্যমে আইসিটি খাতে কর্মসংস্থান ৩০ লাখে উন্নীত করার লক্ষ্য আমরা নির্ধারণ করেছি।’

এই লক্ষ্য বাস্তবায়ন করা সম্ভব- আশা প্রকাশ করে তিনি জানান, এজন্য আওয়ামী লীগ সরকার বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে।

ভবিষ্যতে বাংলাদেশকে আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে চাওয়ার কথা জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘৬৪ জেলায় স্থাপন করা হচ্ছে শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং অ্যান্ড ইনকিউবেশন সেন্টার। চতুর্থ শিল্পবিপস্নবের বাস্তবতাকে বিবেচনায় নিয়ে শিক্ষার্থীদের কর্মমুখী ও উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে আমাদের সরকার চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি এবং খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি করে দুটি শেখ কামাল আইটি বিজনেস ইনকিউবেটর স্থাপন করেছে।’

পর্যায়ক্রমে প্রত্যেক জেলাভিত্তিক এমন ইনকিউবেটর করার পরিকল্পনার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, বিশেষ করে যেখানে ইউনিভার্সিটিগুলোতে আমরা সুযোগ পাব, যাতে সব বিশ্ববিদ্যালয়ে আইটি বিজনেস ইনকিউবেটর প্রতিষ্ঠা হয় এবং আমাদের মেধাবী শিক্ষার্থীরা সুযোগ পায়।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে আইওটি, রোবোটিক্স, সাইবার সিকিউরিটিসহ উচ্চ প্রযুক্তির ৩৩টি বিশেষায়িত ল্যাব স্থাপন করা হয়েছে। আগামীতে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে সেন্টার ফর ফোর্থ ইন্ডাস্ট্রিয়াল রেভু্যলিউশন এবং গবেষণা ও উদ্ভাবন কেন্দ্র স্থাপন করা হবে- যেখানে আর্টিফিশিয়াল ইনটেলিজেন্স, বিগ ডেটা অ্যানালাইটিকস, বস্নকচেইন, রোবোটিকসসহ অত্যাধুনিক প্রযুক্তি বিষয়ে গবেষণা ও উদ্ভাবন হবে।’

‘যতটুকু সম্ভব বিদু্যৎ সাশ্রয়ী হতে হবে’

এদিকে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘আমি আশা করি দেশবাসী আমাদের সহযোগিতা করবেন। সবাইকে আহ্বান করছি, প্রত্যেককে নিজ নিজ সঞ্চয় বাড়াতে হবে। খরচের ক্ষেত্রে মিতব্যয়ী হতে হবে। যতটুকু সম্ভব বিদু্যৎ সাশ্রয়ী হতে হবে। বিদু্যতের ব্যবহার কমাতে হবে।’

বুধবার চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট) আইটি বিজনেস ইনকিউবেটরের উদ্বোধনের সময় তিনি এসব কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যুক্ত হন তিনি।

তিনি বলেন, ‘পদ্মা সেতুর মতো স্থাপনা নিজেদের অর্থায়নে করতে পেরে আমরা বিশ্বকে দেখিয়ে দিয়েছি, আমরা পারি, বাংলাদেশ পারে। ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণেও আমরা সেটা প্রমাণ করছি।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের এখন একটাই উপায়, কখন, কোন এলাকায় বিদু্যতের লোডশেডিং হবে সেটার একটা রুটিন তৈরি করা। যাতে মানুষ প্রস্তুত থাকতে পারে। মানুষের কষ্টটা যেন আমরা লাঘব করতে পারি।’

তিনি বলেন, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে সারা বিশ্ব একটা ভয়াবহ পরিস্থিতির দিকে যাচ্ছে। আমরা সবার ঘরে বিদু্যৎ দিয়েছি ঠিকই, কিন্তু বর্তমানে আমাদের লোডশেডিং করতেই হবে; উৎপাদনও সীমিত রাখতে হবে। যাতে আমাদের এই ভর্তুকিটা না দিতে হয়।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি আপনাদের জানাতে চাই বিদু্যতে মোট ভর্তুকি দিতে হচ্ছে ২৮ হাজার কোটি টাকা। গ্যাসের চাহিদা পূরণের জন্য এবং ইন্ডাস্ট্রি চালু রাখা এবং বিদু্যৎ কেন্দ্র চালু রাখার জন্য যে এলএনজি আমদানি করছি, সে ক্ষেত্রে ভর্তুকি দিতে হচ্ছে ২৫ হাজার কোটি টাকা।

তিনি বলেন, প্রতি কিউবেক মিটার এলএনজি কিনতে সরকারের ব্যয় ৫৯ দশমিক ৬০ টাকা। কিন্তু আমরা সেটা গ্রাহকদের কাছে আগে বিক্রি করেছি মাত্র ৯ দশমিক ৬৯ টাকায়। যেটা সম্প্রতি বাড়িয়ে ১১ টাকা করা হয়েছে। তারপরও বিশাল অঙ্কের ভর্তুকি রয়ে গেছে সেখানে। এই যে বিশাল অঙ্ক আমরা ভর্তুকি দিচ্ছি, এটা আমরা কতদিন দিতে পারব? কারণ আমাদের মানুষকে খাদ্য দিতে হবে, চিকিৎসা দিতে হবে, গৃহহীনদের ঘর দিতে হবে। প্রতিটি ক্ষেত্রে আমাদের তাদের প্রতি নজর দিতে হবে।

তিনি আরও বলেন, প্রায় ৮৪ হাজার কোটি টাকা ভর্তুকিই দিতে হবে। এবারের বাজেটে ধরেছি। কিন্তু আমরা যদি ভর্তুকি না কমাই, সরকারের টাকা আসবে কোথা থেকে?

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিদেশেও সব কিছুর দাম বেড়ে যাচ্ছে। যেগুলো আমাদের কিনে আনতে হয়। ভোজ্যতেলও আমাদের আনতে হচ্ছে। সেখানে সবাইকে আহ্বান করেছি প্রত্যেককে নিজ নিজ সঞ্চয় বাড়াতে হবে। খরচের ক্ষেত্রে মিতব্যয়ী হতে হবে।

তিনি বলেন, আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশ করেছি, বিদু্যৎ উৎপাদন বাড়িয়েছি। সেই বিদু্যৎ আমরা দেশের প্রতিটি ঘরে বিদু্যৎ পৌঁছে দিতে সক্ষম হয়েছি। তবে আপনারা জানেন যে রাশিয়া-ইউক্রেন যে যুদ্ধ শুরু হয়েছে সে যুদ্ধ, আর যুদ্ধ শুরুর পরে রাশিয়ার ওপর আমেরিকা নিষেধাজ্ঞা দিল, ইউরোপ নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। এর ফলাফলটা এই দাঁড়িয়েছে, এখন তেলের দাম বেড়ে যাচ্ছে, ডিজেলের দাম বেড়ে যাচ্ছে। প্রত্যেকটা জিনিসের দাম বেড়ে যাচ্ছে। এলএনজির দাম বেড়ে যাচ্ছে।

শেখ হাসিনা বলেন, সব কিছুর দাম এমনভাবে বেড়ে গেছে যে, এখন বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলো চালিয়ে রাখা ব্যয়বহুল ও কষ্টকর ব্যাপার হয়ে গেছে। তাই আমাদের নিজস্ব যেটুকু গ্যাস আছে তা দিয়েই চালিয়ে রাখতে হচ্ছে।

তিনি বলেন, সেই বিষয়টাও আপনাদের আমি জানাতে চাই। কারণ এখানে যে ফার্নেস অয়েল, যার মূল্য ছিল মাত্র ৭০৮ টাকা। সেটা ইউক্রেন যুদ্ধের পর হয়ে গেছে ১ হাজার ৮০ টাকা। অর্থাৎ ৩৩২ টাকা বা ৫২ শতাংশ বেড়েছে। এলএনজি যেটা মাত্র ১০ মার্কিন ডলারে কেনা যেত, যুদ্ধের ফলে এখন তা ৩৮ মার্কিন ডলার হয়েছে। অর্থাৎ দাম বেড়েছে ২৮০ শতাংশ।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের কয়লাও ১৮৭ মার্কিন ডলার ছিল, এখন তা ২৭৮ মার্কিন ডলার হয়েছে। প্রায় ৬১ শতাংশ বেড়েছে। ডিজেল লিটার যেটা ৮০ মার্কিন ডলার ছিল, এখন ১৩০ ডলার হয়ে গেছে। শোনা যাচ্ছে দাম ৩০০ ডলার পর্যন্ত বাড়তে পারে। অর্থাৎ সারা বিশ্ব এখন একটা ভয়াবহ পরিস্থিতির দিকে যাচ্ছে।

তিনি বলেন, আমরা ডিজেলের ওপর অনেক নির্ভরশীল। সেই ডিজেলের দাম আরও বাড়বে। প্রতিনিয়ত বাড়ছে। এই নিষেধাজ্ঞা যদি না হতো তাহলে কিন্তু রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধও করত এবং তাদের থেকে তেল, সার, গম এগুলোর সরবরাহ ঠিক থাকত। যদিও জাতিসংঘ মহাসচিবের উদ্যোগে একটা চ্যাম্পিয়ন গ্রম্নপ হয়েছে। তাতে আমি সদস্য হিসেবে আছি।

শেখ হাসিনা বলেন, সেখানে আলোচনা হয়েছে- সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ খাদ্য এবং সার যাতে আনতে দেয় সে বিষয়ে কিছু পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। কিন্তু নিষেধাজ্ঞার কারণে এবং সুইফট বন্ধ করার কারণে আমরা ডলার দিয়ে রাশিয়া বা ইউক্রেন থেকে জিনিস কিনতে পারছি না। কাজেই ফাইন্যান্সিয়াল মেকানিজম কী হবে, এর উত্তর কেউ দিতে পারেনি।

তিনি বলেন, ইউরোপেরও খুবই দুরাবস্থা, যদিও তারা রুবল দিয়ে কিনে নিচ্ছে। কিন্তু বাংলাদেশের সে বিষয়ে খুবই সীমিত সুযোগ আছে। তবুও আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, কৃষিতে আমাদের ভর্তুকি দিতে হচ্ছে, বিদু্যতে ভর্তুকি দিতে হচ্ছে। তারপরও আমরা সাধারণ মানুষকে নগদ অর্থ দিচ্ছি। এখন আমরা উপকারভোগী কার্ড করে দিচ্ছি, রেশন কার্ডের মতো পারিবারিক কার্ড। যেখানে স্বল্পমূল্যে প্রায় এক কোটি মানুষের জন্য কার্ড করে দেওয়া হয়েছে। যাতে তারা স্বল্পমূল্যে খাদ্যপণ্য কিনতে পারে, সেই ব্যবস্থাও আমরা করে দিচ্ছি। মানুষের কল্যাণে যা যা করার সেই ব্যবস্থা আমরা নিচ্ছি।