কোরবানির পশুর হাটে কেনাবেচা সহজ ও ঝুঁকিমুক্ত করতে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) ছয়টি হাটে ডিজিটাল লেনদেনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। ‘স্মার্ট হাট’ নামের এ ই-ব্যাংকিং সুবিধা এরইমধ্যে হাটে আসা ক্রেতা-বিক্রেতাদের মধ্যে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে।
ঈদুল আজহা সামনে রেখে গাবতলী, বসিলা, আফতাবনগর, ভাটারা, কাওলা ও উত্তরা ১৭ নম্বর সেক্টরের পশুর হাটে বসেছে ডিএনসিসির ‘স্মার্ট হাট’ বুথ। যেখানে ক্রেতারা ক্রেডিট ও ডেবিট কার্ডের মাধ্যমে পিওএস (পয়েন্ট অব সেল), মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস, কিউআর কোডের মাধ্যমে বা এটিএম মেশিন হতে নগদ অর্থ উত্তোলন করে বিক্রেতাকে পশুর মূল্য পরিশোধ করতে পারছেন। পেমেন্ট পার্টনার হিসেবে কার্ড স্কিম পরিচালনা করছে মাস্টারকার্ড, ভিসা ও আমেরিকান এক্সপ্রেস। আর লিড ব্যাংক হিসেবে ব্যাংক এশিয়া, ব্র্যাক ব্যাংক, মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক, ইস্টার্ন ব্যাংক, ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ, সিটি ব্যাংক কাজ করছে। মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সেবা প্রদানকারী সংস্থা হিসেবে বিকাশ ও ইসলামী ব্যাংক এমক্যাশ কাজ করবে।
মঙ্গলবার (৫ জুলাই) সরেজমিনে ভাটারা ও আফতাবনগর কোরবানির পশুর হাট ঘুরে দেখা যায়, হাটে পর্যাপ্ত পশু থাকলেও ক্রেতা উপস্থিতি তুলনামূলক কম। এরমধ্যেও বেশ কয়েকটি পশু বিক্রি হতে দেখা গেছে।
ভাটারা হাটে ব্যাংক এশিয়ার অ্যাসিস্ট্যান্ট রিলেশনশিপ অফিসার মোমিনুল ইসলাম রুবেল বলেন, ১ জুলাই থেকে আমাদের কার্যক্রম শুরু করেছি। প্রথমে একটু কম হলেও এখন রেস্পপন্স অনেক ভালো। আজ আমাদের ব্যাংকে ছয়টা অ্যাকাউন্ট হয়েছে। ১ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে। এটিএম বুথ পাশে আছে৷ সেখানেও রেগুলার ট্রানজেকশন হচ্ছে।
তিনি বলেন, গরু কিনতে এসে অনেকের টাকার কমতি হচ্ছে। তখন তারা দ্রুত এটিএমে আসতে পারছেন। কেনাকাটা এখনও জমেনি। যেগুলো হচ্ছে সেখানে ডিজিটাল লেনদেনের ব্যবহার হচ্ছে প্রচুর।
ভাটারা হাটের পশু ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, আপাতত বেচাকেনা খুবই কম। তবে হাটের জায়গা পেতে আগেভাগেই এসেছেন তারা। অন্যদিকে আফতাবনগর হাটেও দেখা গেছে একই চিত্র। পর্যাপ্ত কোরবানির পশু থাকলেও ছিল ক্রেতা সংকট।
গরুর ব্যাপারী শামসের উদ্দিন জাহাঙ্গীর বলেন, ঢাকার মানুষ ঈদের দু-একদিন আগে পশু কিনেন। পরশু (বৃহস্পতিবার) থেকে চাপ বাড়বে। এখন যারা আসছেন, তারা দেখে চলে যাচ্ছেন। টুকটাক বিক্রি হচ্ছে।
স্মার্ট হাট বুথের এক কর্মকর্তা জানান, যারা হাটে পশু কিনতে বা বিক্রি করতে আসছেন তাদের টাকা-পয়সার নিরাপত্তার একটা ব্যবস্থা করা হয়েছে এ স্মার্ট হাটের মাধ্যমে। স্বল্প পরিসরে হাটে লেনদেন শুরু হয়েছে। আগামী শুক্রবার থেকে চাপ আরও বাড়বে।