কয়েক দিন আগে প্রখ্যাত কৃষি অর্থনীতিবিদ ইমিরেটাস অধ্যাপক ড. সাত্তার মণ্ডল এবং মাননীয় কৃষিমন্ত্রী ড. আবদুর রাজ্জাকের সঙ্গে একটি অনলাইন আলোচনায় বসেছিলাম। আমি যুক্ত হয়েছিলাম বিদেশ থেকে। মন্ত্রী মহোদয় ছিলেন একটি টেলিভিশন চ্যানেলের স্টুডিওতে। আর ড. মণ্ডল ফরিদপুরের নিজের গ্রামের বাড়ি থেকে।
সেদিন ড. মণ্ডল খুবই আগ্রহোদ্দীপক একটি কথা বলেছিলেন। তিনি গ্রামের পরিবেশে বসে সেদিন বলেছিলেন যে কৃষকের চোখ দিয়ে কৃষিকে দেখতে হবে। শহরের মধ্যবিত্তের চোখ দিয়ে দেখতে গিয়ে আমরা কৃষি খাতের সম্ভাবনা ও দুর্বলতার দুটো দিকই ‘মিস’ করি। অথচ আজ এটি বাস্তব যে দুর্ভিক্ষের মতো মনস্তাত্ত্বিক চাপ জাতিকে আর নিতে হচ্ছে না। বিশেষ করে সরকার মুক্তমনেই আগামী দিনের কৃষির রূপান্তরের পরিকল্পনা করতে পারছে। বাংলাদেশের কৃষির এই সাফল্য চাট্টিখানি কথা নয়।
নিঃসন্দেহে গত পঞ্চাশ বছরে বাংলাদেশের কৃষি তথা সামগ্রিক অর্থনীতির বিস্ময়কর পরিবর্তন ঘটে গেছে। চালের উৎপাদন চার গুণেরও বেশি বেড়েছে। মাছ, মাংস, মুরগি, ডিম, শাক-সবজি ও ফলের উৎপাদনও একইভাবে বেড়েছে। অথচ মাথাপিছু আবাদি জমি কমে গেছে। জনসংখ্যা দ্বিগুণেরও বেশি বেড়েছে। তবু সেই অর্থে খাদ্য নিরাপত্তাহীনতা নেই। তার মানে কৃষিতে উৎপাদনশীলতা অনেকটাই বেড়েছে। মানুষের আয়-রোজগারও বেড়েছে। গ্রামেও অকৃষি আয় এখন প্রায় ৬০ শতাংশ। গ্রামেও শহরের জীবন চলার নানা সুবিধা মিলছে। রপ্তানিমুখী শিল্পে কাজ করার সূত্রে এবং প্রবাস আয়ের প্রভাবে গ্রামবাংলা সত্যিই বদলে যাচ্ছে। গ্রামে মোবাইল ব্যাংকিংসহ ডিজিটাল আর্থিকসেবা ব্যাপক হারে মিলছে। তাই ভোগও বাড়ছে। আর আমাদের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি তো প্রধানত ভোগনির্ভর। তাইতো বাংলাদেশের মাথাপিছু প্রবৃদ্ধির হার এশিয়ায় সেরা।
আগে গ্রামে গেলেই না খেয়ে থাকা মানুষের ভিড় দেখতে পেতাম। এখন আর তেমনটি দেখা যায় না। এখনো অভাবের কথা শুনি। তবে সেই অভাব খাদ্যের নয়। সেই অভাব আরো উন্নত জীবনযাপনের নানা সুযোগের। গ্রামের মানুষ এখন ছেলে-মেয়েদের ভালো শিক্ষার সুযোগের ঘাটতির কথা বলে। বলে ধারেকাছে ভালো মানের চিকিৎসার সুযোগ না পাওয়ার কথা। রাস্তাঘাটের আরো ভালো মেইনটেন্যান্সের কথা। আরো বলে কৃষিপণ্য বিপণনের অসুবিধার কথা। কৃষিপণ্যের উপযুক্ত মূল্য না পাওয়ার কথা। অথচ শহরের মানুষ বলে চালের দাম বেড়ে যাওয়ার কথা। রাজনীতিও কম হয় না খাদ্য মূল্যস্ফীতি নিয়ে। কিন্তু পেঁয়াজের দাম কেজিতে সাত-আট টাকায় নেমে গেলে শহরের টক শো-ওয়ালাদের তা নজরেই আসে না। মধ্যস্বত্বভোগীদের গালাগাল দেওয়ার সময় তাঁদের একবারও মনে পড়ে না যে গ্রামের ব্যাপারীরাও সরবরাহ চেইনের অপরিহার্য একটি অংশ।
অস্বীকার করার উপায় নেই যে এই মুহূর্তে সারা বিশ্বেই খাদ্যমূল্যের দাম বাড়ছে। কভিড কমে আসার পর পরিবহন খরচ বাড়তে থাকায় যারা আমদানি করা প্রাথমিক খাদ্যের ওপর নির্ভরশীল, তাদের বেশ বেগ পেতে হচ্ছিল। এরই মধ্যে শুরু হয়ে যায় ইউক্রেন-রাশিয়া অনাহূত যুদ্ধ। বেলারুশও এই যুদ্ধে নাস্তানাবুদ। এই অঞ্চল থেকেই গম, ভোজ্য তেল এবং রাসায়নিক সারের বড় অংশ বিশ্ববাজারে আসে। রাশিয়ার গ্যাস ও তেল সরবরাহও বন্ধের পথে। জাহাজ ভাড়া বেড়ে গেছে। বীমা খরচও বেড়েছে। এসবের প্রভাব খাদ্যমূল্যে পড়তে শুরু করেছে। এফএও বলছে, সারা বিশ্বে খাদ্যমূল্য ১৩-১৪ শতাংশ বেড়ে গেছে। উন্নত ও উন্নয়নশীল বিশ্বে মূল্যস্ফীতি লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে।
বাংলাদেশও এই বিশ্ব বাস্তবতার বাইরে নয়। বিশেষ করে আমদানি করা ভোজ্য তেলের দাম বেশ বেড়েছে। কবে যে এই যুদ্ধ থামবে তাও বলা যাচ্ছে না। আবার কভিডও নতুন করে অনেক দেশে চোখ রাঙাচ্ছে। এই অনিশ্চয়তার মধ্যেই বাংলাদেশ নতুন অর্থবছরের বাজেট প্রণয়ন করছে। আমাদের আমদানি-রপ্তানি মূল্যে ব্যাপক পার্থক্য দেখা দিয়েছে। ফলে ডলারের চাহিদা বেড়েছে। টাকার অবমূল্যায়নের চাপও তাই বাড়ছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক বেশি বেশি ডলার বিক্রি করে টাকার মূল্যমান ধরে রাখার চেষ্টা করছে। বিলাস পণ্যের জন্য ঋণের মার্জিন বাড়িয়ে আমদানির চাপ কমানোর চেষ্টা করছে। এরই মধ্যে কৃষির কথা আলাদা করে ভাবতে হচ্ছে সরকারকে। কারণ কৃষি উৎপাদন ভালো হলে খাদ্য সরবরাহ বাড়বে। বাজেটের আগে সব খাতই বাড়তি বরাদ্দ চাইবে। যেসব গোষ্ঠীর লবিং করার জোর বেশি তারাই বেশি করে বাজেটারি সুবিধা নেওয়ার চেষ্টা করবে। অর্থনীতিতে খুবই প্রয়োজনীয় ভূমিকা যেসব খাতের তাদের আবার লবিং করার জোর নেই। যেমন—কৃষি। এই খাতের কারণেই বাংলাদেশ করোনা সংকট এমন করে মোকাবেলা করতে পেরেছে। এখনো ৪০ শতাংশের বেশি কর্মসংস্থান কৃষি খাতেই হয়ে থাকে। আমাদের খুদে ও মাঝারি শিল্পের উৎপাদিত পণ্যের চাহিদা এবং এর কাঁচামাল সরবরাহ এই কৃষিই করে থাকে। পোশাকশিল্পসহ নগরের অর্থনীতির জন্য কম দামে খাদ্য সরবরাহ কৃষি খাতই করে। তাই চলমান বাস্তবতায় কৃষি খাতে আগামী বাজেটে বাড়তি বরাদ্দ যেকোনো মূল্যেই দিতে হবে।
সেদিন আমরা মাননীয় কৃষিমন্ত্রীকে জানিয়েছিলাম যে হয়তো কৃষিতে ভর্তুকি (আসলে বিনিয়োগ) কয়েক গুণ বাড়াতে হবে। তিনিই জানালেন যুদ্ধের কারণে টনপ্রতি পটাসিয়াম সারের দাম তিন গুণ বেড়েছে। জাহাজের ভাড়াও বেড়ে গেছে। কৃষকের পক্ষে বিশ্ববাজার দরে সার বা সেচের জন্য ডিজেল কেনা কিছুতেই সম্ভব নয়। তাহলে কৃষি খাতে দেওয়া ৯ হাজার কোটি টাকা দিয়ে এবারে কী করে চলবে? কম করে হলেও এই বিনিয়োগ অন্তত তিন গুণ বাড়াতে হবে। তাই এই মুহূর্তে তেল বা সারের দাম না বাড়িয়ে বরং কৃষিতে ভর্তুকিই বাড়াতে হবে সরকারকে। তেল ও সারের দাম সমন্বয় এক্ষুনি না করাই ভালো হবে।
প্রশ্ন উঠতেই পারে এই বাড়তি বরাদ্দ কিভাবে দেবে সরকার? উত্তর একটিই। কৃষির মতো এক্ষুনি সুফল দিতে পারবে না যেসব খাত, তাদের বেলায় বরাদ্দ কমানো হোক। দালানকোঠা নির্মাণসর্বস্ব উন্নয়ন খাতে বরাদ্দ আসন্ন বাজেটে কমানো হোক। একই সঙ্গে সরকার পরিচালনায় বাড়তি খরচ আরো কাটছাঁট করা হোক। অযথা বিদেশ ভ্রমণ বন্ধে পরিপত্র জারি হয়েছে। জৌলুসপূর্ণ সম্মেলন আয়োজনের প্রয়োজন নেই। পাশাপাশি আমাদের রাজস্ব আদায় বাড়াতে ডিজিটাল প্রযুক্তির প্রয়োগে গতি আনতে হবে।
এই আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে আমরা একদিকে আমাদের অর্থনীতির গুরুত্বপূর্ণ রক্ষাকবচ কৃষি খাতে বাজেট বরাদ্দ উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়ানোর প্রস্তাব করছি, অন্যদিকে কৃষিকেও আরো স্মার্ট ও প্রযুক্তিনির্ভর করতে বলছি। এই ভাবনার আলোকেই আগামী কৃষি বাজেটে কয়েকটি সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব নীতিনির্ধারকদের বিবেচনার জন্য পেশ করছি—
১. আগামী বাজেটে কৃষি খাতে প্রণোদনার জন্য বিনিয়োগ বা ভর্তুকি অন্তত ৩০ হাজার কোটি রাখা হোক।
২. কৃষির উন্নয়নে গবেষণা ও উদ্ভাবন বাবদ বাড়তি বরাদ্দ দেওয়া হোক। নতুন নতুন আবিষ্কৃত জলবায়ুসহিষ্ণু বীজ উৎপাদন ও সরবরাহের জন্য বিএডিসিকে বাড়তি বাজেট দেওয়া হোক। নতুন বীজ ব্রি-৮৯ ও ৯২ ছাড়াও বঙ্গবন্ধু-১০০ ধানবীজ উৎপাদন ও সরবরাহে অগ্রাধিকার দিয়ে এই বরাদ্দ দেওয়া হোক।
৩. কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ ও কৃষি বিপণন বিভাগের জনবল, প্রশিক্ষণ ও অন্যান্য সুবিধা বাড়ানোর উদ্যোগ নিতে হবে। কৃষিতে আরো মূল্য সংযোজন করার জন্য প্রাণিসম্পদের জন্য বরাদ্দ বাড়াতে হবে।
৪. কৃষকসহ ব্যক্তি খাতকেও কৃষির উন্নয়নে প্রণোদিত করতে বিশেষ বরাদ্দ দিতে হবে। মূল্য সংযোজিত কৃষির উন্নয়নে সংশ্লিষ্ট উদ্যোক্তাদের জন্য বাজেটে বিশেষ সুদ-ভর্তুকির বরাদ্দ রাখা যেতে পারে। বাংলাদেশ ব্যাংক সে জন্য কম সুদের একটি আলাদা প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করতে পারে।
৫. তথ্য আজ উন্নয়নের বড় উপকরণ। তাই কৃষি বিপণন অধিদপ্তর যেন আরো সুচারুভাবে কৃষক ও কৃষিসংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীদের কাছে পর্যাপ্ত তথ্য পৌঁছানো ও পরিকল্পনায় সহায়তা করতে পারে সে জন্য একে শক্তিশালী করার ওপর নিশ্চয় বাজেটে জোর দেওয়া যেতে পারে।
৬. কৃষির বিপণন প্রক্রিয়ায় ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহারের সুযোগ আসায় কৃষকের এবং ভোক্তার উচিত মূল্য পাওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হতে যাচ্ছে। তাই কৃষি বিপণনে অনলাইন বাজার গড়ার জন্য বাজেটারি প্রণোদনা বাড়ানোর প্রয়োজন রয়েছে। একই সঙ্গে কৃষকের বাজার, রেলের মাধ্যমে আম পরিবহনের মতো সবজি ও কৃষিপণ্য সস্তায় পরিবহনের সুযোগ তৈরি করে দেওয়া, পদ্মা সেতুসহ অন্যান্য সেতুর ওপর দিয়ে কম টোলে কৃষিপণ্য পরিবহনের ব্যবস্থা করা, এবং কৃষি পরিবহনে চাঁদাবাজি বন্ধ করার গুরুত্ব বাজেট আলোচনায় তুলে আনার সুযোগ রয়েছে।
৭. ভোজ্য তেলের আন্তর্জাতিক বাজার বরাবরই অস্থির থাকে। তাই দেশে তৈরি সরষে ও অন্যান্য তেলবীজ উৎপাদনে বাড়তি নীতিসহায়তা অপরিহার্য হয়ে পড়েছে। তেল উৎপাদনে শিক্ষিত তরুণদের নয়া উদ্যোক্তায় পরিণত করতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের স্টার্ট-আপ তহবিলের একটি অংশ বরাদ্দ করা যেতে পারে।
৮. কৃষিতে নবায়নযোগ্য শক্তির ব্যবহার এবং বর্জ্য থেকে জৈব সার তৈরির উদ্যোগকে প্রণোদিত করার জন্য বিশেষ বাজেট বরাদ্দ দিলে তা বাংলাদেশের জলবায়ুবান্ধব উন্নয়ন নীতিকৌশলের সঙ্গে মানানসই হবে। প্রধানমন্ত্রীর সবুজ বাংলাদেশ গড়ার আকাঙ্ক্ষার সঙ্গেও সামঞ্জস্যপূর্ণ মনে হবে। অস্বীকার করার উপায় নেই যে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুতের মূল উপকরণ যেহেতু আমদানি করতে হয়, তাই এ ক্ষেত্রে একটি ঝুঁকি বরাবরই থাকবে। তাই নবায়নযোগ্য শক্তির ব্যাপক প্রসার আমাদের দীর্ঘমেয়াদি জ্বালানি নিরাপত্তা এবং সামষ্টিক অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতার জন্য একান্ত প্রয়োজন।
৯. কৃষির যন্ত্রায়নে নেওয়া সরকারের নগদ প্রণোদনা নীতি এই বাজেটেও অব্যাহত রাখতে হবে। একই সঙ্গে নতুন পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়ানোর জন্য বহুমুখী রোপণযন্ত্র এবং পাওয়ারটিলার পরিচালিত সিডার সেবা যাতে কৃষক সরাসরি কিংবা কোনো সেবাপ্রদানকারী উদ্যোক্তার মাধ্যমে নিতে পারেন সে জন্য কম্বাইন্ড হারভেস্টারের জন্য দেওয়া নগদ প্রণোদনার অনুরূপ প্রণোদনা অন্যান্য কৃষিযন্ত্রের জন্যও দেওয়া যেতে পারে।
১০. আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো ছাড়াও ধোলাইখাল কিংবা বগুড়ার হাতেকলমে শেখা যথোপযুক্ত প্রযুক্তিবিশারদরাও যাতে কৃষির যান্ত্রিক রূপান্তরে কাঙ্ক্ষিত অবদান রাখতে পারেন সে জন্য এই বাজেটেই একটি বিশেষ ‘উদ্ভাবন তহবিল’ স্থাপনের প্রস্তাব করছি।
দীর্ঘমেয়াদি নীতিকৌশল গ্রহণ করে কৃষি খাতকে টেকসই করার উদ্যোগ প্রতিটি বাজেটেই নেওয়া উচিত। বিদেশ থেকে এত দামে রাসায়নিক সারের চাপ কমাতে জৈব সার তৈরির জন্য প্রণোদনা দেওয়া যেতে পারে। অজৈব ও জৈব সারের মিশ্রণের মাধ্যমে শুরু করে ধীরে ধীরে জৈব সারের ব্যবহার বাড়াতে বেশি বেশি বিনিয়োগ করা যেতে পারে। একইভাবে সেচে প্রচলিত জ্বালানি থেকে সৌরশক্তির ব্যবহার বাড়ানোর জন্য বাড়তি প্রণোদনা দেওয়া বাঞ্ছনীয়।
করোনাকালে কৃষিঋণের নানা সুবিধাসহ যেসব প্রণোদনা সরকার কৃষি খাতের জন্য দিয়েছে, তা আসন্ন বাজেটেও অব্যাহত রাখতে হবে। বিশ্ব অর্থনীতির এই টালমাটাল পরিস্থিতিতে আমাদের অর্থনীতির সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য রক্ষাকবচ কৃষির দিকে দৃষ্টি নিবন্ধ রাখার কোনো বিকল্প নেই।
লেখক :ড. আতিউর রহমান অর্থনীতিবিদ এবং সাবেক গভর্নর বাংলাদেশ ব্যাংক