আগামী বছরের জুনে ঢাকা-ভাঙ্গা ট্রেন চালু

রেলপথ মন্ত্রী মো. নূরুল ইসলাম সুজন বলেছেন, ঢাকা থেকে ভাঙ্গা পর্যন্ত রেল চালু হবে আগামী বছরের জুনে। আর ঢাকা থেকে যশোর পর্যন্ত ১৭২ কিলোমিটার রেল প্রকল্প বাস্তবায়ন হবে ২০২৪ সালে। তিনি মুন্সীগঞ্জ লৌহজং উপজেলার মাওয়া প্রান্তে পদ্মা সেতু প্রকল্পের রেললাইন স্থাপনের কাজের অগ্রগতি পরিদর্শন শেষে মাওয়ায় রেল স্টেশনে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন।

মন্ত্রী ঢাকা থেকে যশোর পর্যন্ত ১৭২ কিলোমিটারের মধ্যে ভাঙ্গা থেকে মাওয়া পর্যন্ত ৪২ কিলোমিটার এবং ঢাকা থেকে মাওয়া পর্যন্ত ৩৯ কিলোমিটার অংশের কাজের অগ্রগতি পরিদর্শন করেন।

মন্ত্রী বলেন, ঢাকা থেকে মাওয়া অংশের কাজের অগ্রগতি ৬০ দশমিক ৪ শতাংশ । আর মাওয়া থেকে ভাঙ্গা পর্যন্ত কাজের অগ্রগতি ৭৮ শতাংশ। ভাঙ্গা থেকে যশোর পর্যন্ত কাজের অগ্রগতি ৪৯ দশমিক ৫ শতাংশ। আর ঢাকা থেকে যশোর পর্যন্ত রেল সেতুর সার্বিক অগ্রগতি ৫৭ দশমিক ৫০ শতাংশ।

এ সময় রেললিঙ্ক প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক ব্রিগেডিয়ার আবু সাঈদ এবং মুন্সীগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক স্নেহাশীষ দাশসহ উর্ধতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। নুরুল ইসলাম সুজন বলেন. পদ্মা সেতুর উদ্বোধনের দিন থেকে ঢাকা-মাওয়া-ভাঙ্গা পর্যন্ত রেলপথ চালু করার পরিকল্পনা ছিলো। কিন্তু কারিগরি দিক বিবেচনায় পদ্মা বহুমুখী সেতু প্রকল্প কর্তৃপক্ষের অনুমতি না পাওয়ায় সেতুর উপরিভাগে রেললাইনের কাজ করা সম্ভব হয়নি। এ কারণে জুন মাসে সেতু উদ্বোধন হয়ে যাওয়ার পরে জুলাই মাস থেকে সেতুর উপরে রেললাইন স্থাপনের কাজ শুরু হবে।

তিনি বলেন, পদ্মা সেতু প্রকল্পের রেললাইন ঢাকা থেকে যশোর পর্যন্ত ১৬৯ কিলোমিটার। চলতি বছর ঢাকা-মাওয়া-ভাঙ্গা পর্যন্ত কাজ সম্পন্ন হবার কথা রয়েছে এবং ২০২৪ সালের মধ্যে যশোর পর্যন্ত পুরো কাজ সম্পন্ন হবে।

বহুমুখী এই সেতুর নিচতলার এক পাশে বসেছে গ্যাস লাইন, আরেকপাশে সার্ভিস লেন। মাঝখানেই রেললাইন। পাথরবিহীন রেল লাইন স্থাপনে আরও সময় লাগবে ছয় মাস।

পদ্মা সেতুর দুই পাড়ের সাড়ে ৪ কিলোমিটার রেল সংযোগ সেতুতে বসেছে রেল ট্র্যাক। পদ্মা সেতুর দুই প্রান্তে ৭ দশমিক ১৫ কিলোমিটার রেল সংযোগ সেতুর মাত্র ২ দশমিক ৬৫ কিলোমিটারে রেল ট্র্যাক বসানো বাকি। ভায়াডাক্ট সম্পন্ন হয়ে যাওয়ায় বাকি অংশের পাথরবিহীন রেল লাইন এখন দ্রুত সম্পন্ন হবে। পরে মন্ত্রী মাওয়া থেকে পদ্মা পাড়ি দিয়ে অপর প্রান্তে মাদারীপুরে কাজের অগ্রগতি পরিদর্শনে যান।