বগুড়ার ফিলিং স্টেশনগুলোতে পেট্রোল-অকটেনের সংকট আর থাকছে না। মাসখানেক আগে থেকে এই সংকট থাকলেও আজ রোববার থেকে জ্বালানি তেলের সরবরাহ স্বাভাবিক হয়েছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশ কর্তৃপক্ষ। এরমধ্যে উত্তরবঙ্গে প্রায় ১০ লাখ লিটার জ্বালানি তেল সরবরাহ করা হয়েছে।
ফিলিং স্টেশনের মালিকরা বলছেন, জ্বালানি তেলের ডিপো থেকে চাহিদা অনুযায়ী সরবরাহ না পাওয়ায় এ সংকট সৃষ্টি হয়। মাসখানেক আগে থেকেই তেলের সংকট দেখা দেয়। পরবর্তীতে ঈদের কয়েকদিনে পেট্রোল-অকটেনের তীব্র সংকট দেখা দেয়। বগুড়ার শতকরা ৪০ ভাগ ফিলিং স্টেশনে জ্বালানি তেল ছিল না। তবে আজ থেকে তেল পাওয়া যাবে।
বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম ডিলার্স ডিস্ট্রিবিউটরস এজেন্টস অ্যান্ড পেট্রল পাম্প ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের বগুড়া জেলার সভাপতি মিজানুর রহমান রতন জানান, জেলায় ৮০টি ফিলিং স্টেশন আছে। এরমধ্যে শতকরা ৪০ ভাগ ফিলিং স্টেশনে তেল ছিল না। বাকি ৬০ ভাগে পর্যাপ্ত পরিমাণে তেল মজুত ছিল। আজ রোববার ১০ লাখ লিটার তেল উত্তরবঙ্গে সরবরাহ করা হয়েছে। ফলে তেলের সংকট আর থাকছে না।
জ্বালানি তেল সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের (বিপিসি) বলছে, পরিবহন জটিলতায় তেলের সরবরাহে সাময়িক সমস্যা সৃষ্টি হয়েছিল। বর্তমানে সেই সংকট আর নেই। রেলের ওয়াগন সংকটে তেল পরিবহনে সাময়িক সমস্যার সৃষ্টি হয়েছিল।
ফিলিং স্টেশনের মালিকদের অভিযোগ, রমজান মাসের (এক মাস আগে) শুরু থেকেই জ্বালানি তেলের ডিপো থেকে পেট্রোল-অকটেন চাহিদা অনুযায়ী সরবরাহ করা হয়নি। অন্তত চার-পাঁচদিন আগে ডিপোতে তেলের জন্য বলতে হয়। তারপরে পাওয়া যায়। তবে চাহিদার তুলনায় কম। ওই সময় তাদেরকে বলা হয় জ্বালানি তেলের আমদানি সংকট সৃষ্টি হয়েছে। সমুদ্রপথে তেলবাহী জাহাজ না আসায় এ সংকট হচ্ছে। পরবর্তীতে ঈদে আগের দিন থেকে চতুর্থ দিন পর্যন্ত তেলের তীব্র সংকট দেখা দিয়েছিল। এই সময়ের মধ্যে অনেক পাম্প তেলশূন্য হয়ে পড়ে।
বগুড়ার এসবি ফিলিং স্টেশনের মালিক এনামুল হক শাহীন জানান, মাসখানেক আগে থেকেই জ্বালানি তেলের সংকট সৃষ্টি হয়। ওই সময় কর্তৃপক্ষ তাদের জানায়- তেলবাহী জাহাজ চলাচল বন্ধ থাকায় এই সংকট সৃষ্টি হয়েছে। এ সময় চাহিদার তুলনায় তেল সরবরাহ করা হয়নি। পরবর্তীতে ঈদের পঞ্চম দিনে পেট্রোল-অকটেনের তীব্র সংকট দেখা দেয়। অনেক ফিলিং স্টেশনে তেল ছিল না।
তিনি আরও জানান, ঈদের মধ্যে তিনদিন গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকায় পেট্রোল-অকটেনের ওপর চাপ পড়ে বেশি। এছাড়াও ঢাকা থেকে প্রচুর মোটরসাইকেলসহ বিভিন্ন যানবাহন বগুড়ায় প্রবেশ করায় জ্বালানি তেলের ঘাটতি দেখা দিয়েছিল।
বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশ পরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) খালিদ আহম্মেদ মুঠোফোনে জানান, দেশে জ্বালানি তেলের কোনো সংকট নেই। আজ রোববার থেকে এই সংকট আর থাকবে না।