রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া ফেরিঘাটে ৭ কিলোমিটার এলাকায় নদী পারাপারের অপেক্ষায় রয়েছে যানবাহন। ঘাট সূত্রে জানা গেছে, চাপ গতকালের চেয়ে কম। একই চিত্র মাদারীপুরের বাংলাবাজার ও মুন্সীগঞ্জের শিমুলিয়া ফেরিঘাটে।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন কর্পোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) দৌলতদিয়া ঘাট শাখার ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) মো. শিহাব উদ্দিন জানান, রোববার সকাল থেকে দৌলতদিয়ায় ৭ কিলোমিটার যানবাহনের সারি লক্ষ করা গেছে। যাত্রী, ছোট গাড়ি ও মোটরসাইকেলের চাপ কিছুটা কম থাকায় ৪-৫ ঘণ্টা অপেক্ষা করে ফেরির নাগাল পাচ্ছে বাস। তবে পণ্যবাহী ট্রাকগুলোকে দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হচ্ছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, ফেরিঘাটের জিরো পয়েন্ট থেকে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের ৭ কিলোমিটার পর্যন্ত রয়েছে যানবাহনের সারি। এসব যানবাহনগুলোর মধ্যে নৈশকোচ ও পণ্যবাহী ট্রাক রয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ মোড় থেকে রাজবাড়ী-কুষ্টিয়া আঞ্চলিক মহাসড়কে তিন শতাধিক যানবাহন আটকে দিয়েছে পুলিশ। এছাড়া ঢাকা-খুলনা মহাসড়কে যানবাহন চলাচল সচল রাখতে প্রায় দুই শতাধিক পুলিশ সদস্য কাজ করছেন।
বিআইডব্লিউটিসি কর্মকর্তা মো. শিহাব উদ্দিন বলেন, বর্তমানে এই রুটে ২১টি ফেরি চলাচল করছে। গতকালের তুলনায় আজ যানবাহনের সিরিয়াল কম। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে চাপ আরো কমে যেতে পারে। যাত্রী ও যানবাহন পারাপারে আমরা আপ্রাণ চেষ্টা করে যাচ্ছি।
এদিকে শিমুলিয়া ঘাট কর্তৃপক্ষের দাবি, রোববার বিকেল পর্যন্ত যাত্রী ও পরিবহনের চাপ কিছুটা থাকবে। এরপর থেকে স্বাভাবিক হবে ঘাটের সার্ভিস।
সরেজমিনে বাংলাবাজার ঘাটে দেখা যায়, ঘাটের ৩ নম্বর লেনের দুই পাশে শতাধিক ছোট যানবাহন পারাপারের অপেক্ষায় রয়েছে। ঘাট এলাকায় দুটি রো রো ফেরি রয়েছে। এতে অন্তত ৬০টি যানবাহন পার করা যাবে। এরপরও বাড়তি হিসেবে যোগ হয়েছে একটি ডাম্ব ফেরি। এর ধারণক্ষমতা ছোট সাইজের অন্তত ৪০টি ফেরির সমান। এতে রাতেই আটকে পড়া ব্যক্তিগত ও হালকা যানবাহন পার হতে পারবে।
অন্যদিকে লঞ্চঘাটেও যাত্রীর চাপ কমেছে। দূরপাল্লার পরিবহন কম আসায় ঘাটে যাত্রী তুলনামূলক কম দেখা গেছে। স্বাভাবিক দেখা গেছে স্পিডবোট ঘাটও, নোঙর করা রয়েছে বেশ কয়েকটি বোট।
বিআইডব্লিউটিসির বাংলাবাজার ঘাটের ব্যবস্থাপক মো. সালাউদ্দিন বলেন, শনিবার বিকেলের পর থেকে ঘাটে চাপ অনেকটাই কমে গেছে। ফেরিঘাটে আগের মতো যানবাহনও নেই।