ভোলার তজুমদ্দিন উপজেলার ফসলের মাঠ বোরো ধানের শীষে ভরপুর। যেদিকেই চোখ যায় যেন এক অপরুপ সমাহার। বোরো ফসলের মাঠে বাতাসের দোল খাচ্ছে ধানের শীষ। চারিদিকে এক নয়নাভিরাম দৃশ্য। তা দেখে খুশিতে কৃষকের মনে দোলা দিচ্ছে এক ভিন্ন আমেজ। আবহাওয়া অনুকুলে থাকলে এবার বাম্পার ফলনের আশা করছে কৃষক। এবার তারা শংকিত প্রাকৃতিক দৃর্যোগ ও কালবৈশাখী ঝড়ের আশংকায়।
তজুমদ্দিন উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানাযায়, চলতি মৌসুমে উপজেলার ৫টি ইউনিয়ন মিলে ২৬শ ৭০ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের আবাদ করা হয়েছে। এরমধ্যে উন্নতজাতের উফসি জাতের ধান ২৪শ ৬০হেক্টর ও হাইব্রিট ২১০শ হেক্টর ধান রয়েছে।
এবার ইরি বোরো আবাদে তেমন কোন রোগবালাই আক্রান্ত হয়নি। বিগত কয়েক বছরের মধ্যে বোরো ধানগাছে রয়েছে সুন্দর তেজ। সেই ধানের গাছ ভাল রাখতে ও ধানের উৎপাদন বাড়াতে কৃষকরা সার্বক্ষনিক পরিচর্যা করায় এখন ধান গাছে বড়বড় শীষ বের হয়ে খাচ্ছে বাতাসের দোলা। আনন্দে দুলছে কৃষকদের মন। এখন পর্যন্ত আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় ফুরফুরে মেজাজে রয়েছে কৃষকরা।
চাঁদপুর ইউনিয়নের কৃষক হাফেজ, শম্ভুপুর ইউনিয়নের কৃষক এরশাদ আলীসহ অনেক জানান, এবার বাম্পার ফলনের আশা করছেন তারা। তবে তাদের মনে সর্বদা প্রাকৃতিক দুর্যোগ কালবৈশাখী ঝড় ও শিলাবৃষ্টি আতংক বিরাজ করছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা অপুর্ব লাল সরকার বলেন, ‘আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এবারও বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে।’