সুন্দরবন সংলগ্ন বাগেরহাটের রামপালে দুই ইউনিটের ১৩২০ মেগাওয়াট তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের নির্মাণ কাজে বেশ গতি বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রকল্পের ৬৬০ মেগাওয়াটের একটি ইউনিট এ বছরের সেপ্টেম্বরে চালু হওয়ার কথা রয়েছে।
প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা জানান, “মৈত্রী সুপার থার্মাল পাওয়ার প্রজেক্ট” ইউনিট-১ এ ৯০% এর বেশি কাজ সম্পন্ন হয়েছে এবং প্রকল্পের সামগ্রিক অগ্রগতি প্রায় ৮০%। মৈত্রী প্ল্যান্টের সুইচইয়ার্ড এবং ইন্টারকানেক্টিং ট্রান্সফরমার সক্রিয় করায় প্রকল্পটি একটি বড় মাইলফলক ছুঁয়েছে। এর মাধ্যমে পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে মৈত্রী প্ল্যান্ট সাবস্টেশনের ৪০০কেভি জিআইএস সুইচইয়ার্ড এবং ইন্টারকানেক্টিং ট্রান্সফরমারে বিদ্যুৎ প্রবাহ সক্রিয় হয়েছে।
বাংলাদেশ-ইন্ডিয়া ফ্রেন্ডশিপ পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেডের (বিআইএফপিসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক সাঈদ আকরাম উল্লাহ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, “আমরা আশা করছি আগামী সেপ্টেম্বরে একটি ইউনিটের কার্যক্রম শুরু করতে পারব।”
বিদ্যুৎ বিভাগের অধীনে বিআইএফপিসিএল ১৬ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে এই প্রকল্পটি বাস্তবায়ণের কাজ করছে।
ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশনার বিক্রম কুমার দোরাইস্বামী বলেন, “রামপাল তাপবিদ্যুৎ প্রকল্পটি বাস্তবায়নের শেষ পর্যায়ে রয়েছে এবং শিগগিরই বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু হবে। এখন, বয়লার স্থাপনসহ রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের সমস্ত উপাদানের নির্মাণ কাজ চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে।”
প্রকল্প কর্মকর্তারা জানান, ইউনিট-১ এর অধীনে টারবাইন জেনারেটর-১ এর টারবাইন বক্স-আপ এবং স্টেটর ও রটার স্থাপনের কাজ ইতোমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। টারবাইন-১ এর ইরেকশন স্টেজের লুব অয়েল ফ্লাশিংও সম্পন্ন হয়েছে এবং টারবাইনের ইনসুলেশন কাজ এবং ফ্লাই-অ্যাশের ইনসুলেশন কাজও শেষ পর্যায়ে রয়েছে।
এদিকে, ইউনিট-২ এর বয়লার কাঠামো এবং চাপ অংশের নির্মাণ কাজও এগিয়ে চলছে বলে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।