হাসছে সোনালি ধান, হাসছে কৃষাণ-কৃষাণী

হবিগঞ্জে বানিয়াচংয়ের বিস্তৃর্ণ এলাকাজুড়ে কৃষাণ-কৃষাণীরা চাষাবাদ করেছেন বোরো ধান। গেল কয়েক দিন আগেও তীব্র খরায় কৃষকের মাথায় চিন্তার ভাঁজ ছিল। সম্প্রতি একপশলা বৃষ্টিতে কৃষকরা আশায় বুক বেঁধেছেন। চারায় ধান বেরুনোর সময় বৃষ্টির হওয়ার ফলে দেদার বেরুচ্ছে ধান। হাওরজুড়ে যতটুকু চোখ যায়, শুধু দেখা যায় সোনালি ধান আর ধান।

বানিয়াচং উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ এনামুল হক জানান, প্রকৃতিক কোনো দুর্যোগ না হলে এবার বানিয়াচংয়ে ধানের বাম্পার ফল হবে। উপজেলায় ৩৩ হাজার ৭৮৫ হেক্টর জমিতে বোরো ধান চাষ করা হয়েছে। ঠিকমত ফসল কেটে ধান গোলায় তুলতে পারলে ধানের পরিমাণ হবে ১ লাখ ৭০ হাজার ২৬৬ মেট্রিক টন।

কয়েকটি হাওড় সরেজমিন দেখা যায়, সোনালি বোরো ধানের ভরেছে মাঠ। কৃষকের মুখে নেই ক্লান্তির ছাপ। ধানে ধান লেগে শিন শিন শব্দ মনকে করেছে প্রাণবন্ত। বাতাসে দোল খাওয়া পাঁকা আধাপাঁকা ধানের ঘ্রাণে কৃষকরা বিমোহিত। হাসছে সোনালি ধান, হাসছে কৃষাণ-কৃষাণী।

বানিয়াচং শেখের মহল্লার বড় গৃহস্ত মোত্তাক্কিন বিশ্বাস জানান, সরকারের তরফ থেকে কৃষকদের বীজ, সার, আধুনিক যন্ত্রপাতি দিয়ে সহযোগিতা করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ফলে এবার ফলন হয়েছে লক্ষ্যমাত্রার চেয়েও বেশি।

দৌলতপুর গ্রামের কৃষক শাহিন মিয়া জানান, কয়েক দিন আগে একপশলা বৃষ্টি জমিতে এনে দিয়েছে নতুন মেরুকরণ। কয়েক দিনেই ধানী জমির চিত্র বদলে গিয়ে ফলন হবে দিগুণ। তিনি জানান, এবার ৪০ কেদার জমিতে ধান আবাদ করেছেন। প্রতি কেদারে অন্যান্য বছর ২০ থেকে ২২ মণ ধান হলেও এবার হবে অন্তত ২৮ থেকে ৩০ মণ।