বাংলাদেশের বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ ( বেবিচক) বলছে, বর্তমানের নয় হাজার ফুটের দীর্ঘ রানওয়েকে ১০ হাজার ৭০০ ফুটে সম্প্রসারণ করা হচ্ছে। এর মধ্যে এক হাজার ৩০০ ফুট থাকবে সমুদ্রের মধ্যে। সময় টিভি, ডিবিসি
আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে উন্নীত করতে বঙ্গোপসাগরের তলদেশে ব্লক তৈরি করে বাড়ানো হচ্ছে রানওয়ে। এই নির্মাণ কাজের দায়িত্ব পেয়েছে চীনের দুইটি প্রতিষ্ঠান।
কক্সবাজার বিমানবন্দরকে ঘিরে তৈরি হবে এভিয়েশনের হাব। আর সারাবিশ্ব থেকে সু-পরিসর বিমান কক্সবাজারে ওঠানামা করতেই এমন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানান বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী।
প্রথমে সাগরের নিচে স্থাপন করা হবে জিওটিউব, ড্রেজিংয়ের মাধ্যমে অপসারণ করা হবে পানি। শুরু হবে খনন প্রক্রিয়া ও বালু ভরাট কার্যক্রম। এরপর প্রাথমিক পর্যায়ে হতে দ্বিতীয় ও তৃতীয় পর্যায়ে হবে বালুর স্তর বিন্যাস। চূড়ান্ত পর্যায়ে হবে রানওয়ের জন্য বালুর স্তর বিন্যাস। তারপর হবে পাথরে স্তর বিন্যাস এবং নিচ্ছিদ্রকরণ, পিচ ঢালাই ও নিচ্ছিদ্রকরণ। এভাবেই তৈরি হবে রানওয়ে এবং প্রাথমিক সমুদ্র হতে রক্ষাকারী বাঁধ। এর পরপরই হবে রানওয়ের শোভাবর্ধন ও নির্দেশক বাতি স্থাপন।
সমুদ্র তলদেশের ওপর ব্লক তৈরি করে এর ওপর স্থাপনা নির্মাণ করা। দেশে এই প্রথম কোনো স্থাপনা নির্মাণ করা হচ্ছে এই প্রক্রিয়ায়। সমুদ্রের কিছু অংশ ভরাট করে সেখানে নির্মাণ করা হবে রানওয়ে।
কক্সবাজার বিমানবন্দরের ব্যবস্থাপক আব্দুল্লাহ আল ফারুক বলেন, আগামী বছরই কক্সবাজার বিমানবন্দর আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে যাত্রা শুরু করবে।
প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে নতুন প্রজন্মের উড়োজাহাজ বোয়িং-৭৭৭-৩০০ ইআর, ৭৪৭-৪০০ ও এয়ারবাসের মতো উড়োজাহাজ সহজেই ওঠা-নামা করতে পারবে। প্রকল্পে ব্যয় হচ্ছে এক হাজার ৫৬৮ কোটি ৮৬ লাখ টাকা। যার পুরোটাই অর্থায়ন করছে বেবিচক।
শুক্রবার (২৭ আগস্ট) বিকেলে কক্সবাজার বিমানবন্দরে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি দেখতে আসেন বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল এম. মফিদুর রহমান।
মফিদুর রহমান বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে এটি সম্প্রসারণ করা হচ্ছে। রানওয়ে সম্প্রসারিত হলে দেশের পর্যটনসহ অর্থখাতে ব্যাপক পরিবর্তন আসবে। এটি কক্সবাজারবাসীর জন্য আনন্দের। এছাড়াও এ বিমানবন্দরকে ঘিরে একটি এভিয়েশন হাব তৈরি হবে।
আগামী ২৯ আগস্ট ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সম্প্রসারণ কাজের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এই রানওয়ে সম্প্রসারণকে ঘিরে নানা রঙে সেজেছে কক্সবাজার শহর। মোড়ে মোড়ে বসানো হয়েছে এলইডি স্ক্রিন। যাতে দেখানো হবে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান। ব্যানার-পোস্টারে ছেয়ে গেছে পুরো শহর।