কম খরচে লাভ বেশি হওয়ায় আধুনিক পদ্ধতি অবলম্বনে দিন দিন কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীতে সুপারি চাষ বাড়ছে। স্বল্প খরচে লাভ বেশি হওয়ায় সুপারি চাষে চাষিদের আগ্রহ বাড়ছে। এবার চলতি মৌসুমে সুপারির বাম্পার ফলনও হয়েছে।
এ উপজেলার ৬টি ইউনিয়নে অধিকাংশ কৃষক পতিত জমিসহ নিজেদের বসতভিটায় সুপারির বাগান করে জীবিকা নির্বাহ করে আসছেন। চলতি মৌসুমে সুপারির বাম্পার ফলন হয়েছে। তবে দেশের দক্ষিণ অঞ্চল সিলেট, যশোর, খুলনাসহ বিভিন্ন জেলায় এ বছর সুপারির ব্যাপক আমদানি ও দেশি সুপারির ফলন বেশি হওয়ায় সুপারির দাম গত কয়েক বছরের তুলনায় কিছুটা কম।
উপজেলার ফুলবাড়ী বাজার, বালারহাট, গংগাহাট, কাশিপুর, বেড়াকুটি বাজার, খরিবাড়ীবাজার, নেওয়াশী বাজার ও বড়ভিটা বাজারসহ বিভিন্ন স্থানে সুপারি কেনাবেচায় ব্যস্ত সময় পার করছেন সুপারি চাষি-ব্যবসায়ীরা।
নাওডাঙ্গা ইউনিয়নের সুপারি চাষি কামরুল ইসলাম ও আলম মিয়া তারা প্রত্যেকেই চার-পাঁচ বিঘা জমিতে সুপারি চাষ করেন করেছেন। গত বছরের তুলনায় এ বছর সুপারির ফলন ভালো হওয়ায় খুশি তিনি।
বালারহাট বাজারের সুপারি আড়তদার শাহজালাল ও সামচুল হক জানান, দেশের দক্ষিণ অঞ্চলের সিলেট, খুলনা, কচুয়াসহ কয়েকটি জেলার আলা মজা সুপারির ব্যাপক আমদানি ও রংপুর অঞ্চলে দেশি সুপারির ফলন বেশি হয়েছে। এখন আমরা বাজারে ২৪০০ থেকে ৩২০০ টাকা কাওন সুপারি কিনে বাড়ীতে মজার জন্য মাটিতে পুতে রাখছি।
এ প্রসঙ্গে ফুলবাড়ী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোছা. নিলুফা ইয়াছমিন জানান, ফুলবাড়ীতে ১১০ হেক্টর জমিতে কৃষকরা সুপারির চাষ করেছেন। এ বছর আশানুরূপ সুপারির ফলনও ভাল হয়েছে।