জামালপুরে চলতি বছর আলুর ফলন ভালো হয়েছে। আর বাজারদর আশানুরূপ হওয়ায় গত বছরের লোকসান পুষিয়ে নেওয়ার আশা করছেন কৃষকরা। কৃষি কর্মকর্তারাও বলছেন, আলুর ফলন ও দাম দুটোই এবার ভালো।
জামালপুর জেলার ৬টি উপজেলায় চলতি বছর ডায়মন্ড, কার্ডিনাল, কারেজ, এস্টারিক্স, গ্র্যানুলা, রুমানাসহ ১০ জাতের আলু চাষ করা হয়েছে।
চাষিরা বলছেন, গত শীতে কুয়াশা বেশি থাকায় আলুর ফলন খুব ভালো হয়েছে। বাজারে দামও আশানুরূপ পাওয়ায় খুশি তারা। এতে দ্বিগুণ লাভের সম্ভাবনা দেখেছেন তারা। ফলে গত বছরের লোকসান কাটিয়ে ওঠার আশা করছেন চাষিরা।
এ ব্যাপারে তারা বলেন, এবার আলুর ফলন বেশ ভালো হয়েছে। একর প্রতি ৩০০ মণ আলু পাওয়া যাবে ও প্রতি একরে ১ লাখ থেকে দেড় লাখ টাকা মূল্যের আলু বিক্রি করা যাবে বলে আশাবাদী তারা।
কৃষি বিভাগও বলছে, আলুর বাম্পার ফলন হয়েছে। কৃষকরা আলুর দামও ভালো পাচ্ছে।
জামালপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপপরিচালক নিতাই চন্দ্র বণিক বলেন, ‘জামালপুরে বিভিন্ন জাতের আলু চাষ হয়ে থাকে। এবার বাজারে আলুর যে দাম, তাতে কৃষক লাভবান হবে বলে আশা করছি।’
জেলায় এ বছর প্রায় ৫ হাজার হেক্টর জমিতে আলুর উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১ লাখ সাড়ে ১৪ হাজার মেট্রিক টন।