সেচনির্ভর কৃষি খাত এবং মাছের উৎপাদন বৃদ্ধির মাধ্যমে জলবায়ু ঝুঁকিতে থাকা এক লাখ ৭০ হাজার দরিদ্র মানুষের আয় বাড়াতে বাংলাদেশকে ১২ কোটি ডলার (প্রায় এক হাজার ৩০ কোটি টাকা) ঋণ দিচ্ছে বিশ্ব ব্যাংক।
‘ক্লাইমেট-স্মার্ট এগ্রিকালচার অ্যান্ড ওয়াটার ম্যানেজম্যান্ট প্রজেক্ট’ শীর্ষক একটি প্রকল্প বাস্তবায়নের লক্ষ্যে বাংলাদেশকে এই পরিমাণ অর্থ বরাদ্দ দেওয়া হবে বলে বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে জানিয়েছে সংস্থাটি।
ঢাকার ইআরডি কার্যালয়ে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) সচিব ফাতিম ইয়াসমিন এবং বিশ্বব্যাংকের পক্ষে বাংলাদেশে সংস্থার ভারপ্রাপ্ত কান্ট্রিডিরেক্টর দানদান চেন চুক্তিতে সই করেন। গত মঙ্গলবার এ ঋণ চুক্তি হয়।
ইআরডির এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, প্রকল্পটির সঙ্গে তিন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত। তবে পানি সম্পদ মন্ত্রণালয় মূল বাস্তবায়নকারী মন্ত্রণালয়। অন্য মন্ত্রণালয় দুটি হচ্ছে, কৃষি সম্পদ মন্ত্রণালয় এবং মৎস ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়।
গত জানুয়ারিতে শুরু হওয়া প্রকল্পটির কাজ শেষ হবে ২০২৬ সালের জুনে। প্রকল্পের অধীনে কৃষিতে পানির দক্ষ ব্যবহার এবং ক্লাইমেট স্মার্ট পানি ব্যবস্থাপনা বিষয়ক সেচ কাঠামো ও অন্যান্য সকল কাজের গুনগত মান রক্ষা করে কৃষি এবং মৎস সম্পদের উৎপাদন বাড়ানো হবে।
প্রকল্প এলাকায় ১২টি ক্লাইমেট স্মার্ট প্রযুক্তি সম্প্রসারণের মাধ্যমে সেচের পানির ব্যবহার অন্তত ৫০ শতাংশ কমিয়ে আনা সম্ভব হবে। একইসঙ্গে প্রকল্প এলাকায় মাছের উৎপাদন অন্তত ২০ শতাংশ বাড়ানো সম্ভব হবে। বিশ্বব্যাংকের এ ঋণ পাঁচ বছরের রেয়াতকালসহ ৩৫ বছরে পরিশোধযোগ্য। ঋণে সুদের হার ফ্রন্ট ইন্ড ফি শুন্য দশমিক ২৫ শতাংশ এবং অনুত্তোলিত অর্থের ওপর একই হারে কমিটমেন্ট ফি প্রযোজ্য।