কালীগঞ্জে পেঁয়াজের বাম্পার ফলন, দামও ভালো

চলতি মৌসুমে পেঁয়াজের বাম্পার ফলন হয়েছে গাজীপুরের কালীগঞ্জে। সঙ্গে বাজার দরও ভালো। এতে আগামীতে পেঁয়াজ চাষে আরও বেশি আগ্রহী হবে কৃষক, বাড়বে নতুন নতুন চাষি। স্থানীয় কৃষি অফিস বলছে, ব্যক্তি উদ্যোগের পাশাপাশি কৃষি প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় সরকারের রাজস্ব খাতের অর্থায়নে পেঁয়াজ চাষিদের সহযোগিতা করা হচ্ছে।

উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, কালীগঞ্জে এ বছর ১৯৫ হেক্টর জমিতে পেঁয়াজ চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল সাড়ে ৯ থেকে ১০ মেট্রিক টন। তবে চাষ হয়েছে লক্ষ্যমাত্রার চেয়েও বেশি। গত বছর ১৯০ হেক্টর জমিতে সাড়ে ৮ মেট্রিকটন পেঁয়াজ উৎপাদন হয়েছে। গাজীপুর জেলার ৫টি উপজেলার মধ্যে কালীগঞ্জ উপজেলায় সবচেয়ে বেশি পেঁয়াজের চাষ ও উৎপাদন হয়।

কালীগঞ্জ পৌরসভাসহ উপজেলার ৭টি ইউনিয়নেই কম বেশি পেঁয়াজের চাষ হয়। তবে উপজেলার বক্তারপুর ইউনিয়নে পেঁয়াজের চাষ একটু বেশি হয়। স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত পেঁয়াজের জাতগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কর্তৃক উদ্ভাবিত বারি পেঁয়াজ-১, তাহেরপুরি ও ফরিদপুরি উল্লেখ্যযোগ্য। এ ছাড়াও, কিছু স্থানীয় জাতের পেঁয়াজ রয়েছে।

উপজেলার বক্তারপুর ইউনিয়নের খৈকড়া ব্লকের দায়িত্বে থাকা উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো. শাহিন মিয়া বলেন, উপজেলার মধ্যে বক্তারপুর ইউনিয়নের খৈকড়ার এক মাঠেই প্রায় ২শ একর জমিতে পেঁয়াজের আবাদ করা হয়েছে। গত বছরের তুলনায় এবছর ফলনও ভালো হয়েছে। প্রতিনিয়ত স্থানীয় পেঁয়াজ চাষিদের কৃষি অফিসের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে বলেও জানান তিনি।

উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ ফারজানা তাসলিম বলেন, গত বছর পেঁয়াজ ও পেঁয়াজের বীজের অনেক দাম ছিল। ১ কেজি পেঁয়াজ বীজের দাম প্রায় ৬ হাজার ছিল। এ ছাড়াও, দফায় দফায় পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় এবছর নতুন নতুন বেশ কিছ কৃষক পেঁয়াজ চাষে উদ্ধুদ্ধ হয়েছেন।

তিনি আরও বলেন, এবছর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের প্রণোদনার আওতায় স্থানীয় ৫০ জন কৃষককে বিনামূল্যে বীজ ও সার এবং রাজস্ব ফলোআপ কর্মসূচির আওতায় আরও ৬৮ জন চাষিকে ১ কেজি করে পেঁয়াজের বীজ বিতরণ করা হয়েছে। এদিকে সরকারের রাজস্ব খাতের অর্থায়নে ৫টি ও এনএটিপি-২ প্রকল্পের আওতায় ৬টি প্রদর্শনী দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়াও, কৃষি অফিসের পক্ষ থেকে কৃষকরা বিনামূল্যে ডিএপি, এমওপি, টিএসটি, ইউরিয়া, জিং সার, বোরন ও কেওয়া দেওয়া হয়েছে।