মেহেরপুরে হচ্ছে উচ্চফলনশীল সবজি বীজ উৎপাদন

কৃষি নির্ভর জেলা মেহেরপুরের চাষিদের কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে সবজি বীজ উৎপাদন। অন্যান্য ফসলের তুলনায় লাভজনক হওয়ায় এ কাজে আগ্রহী হয়ে ওঠেন তারা। বর্তমানে এ জেলায় উৎপাদন করা হচ্ছে বিভিন্ন উচ্চফলনশীল সবজি বীজ। আর তাদের প্রয়োজনীয় সহযোগিতা দিছে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, কয়েকটি বেসরকারি বীজ কোম্পানির সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়ে লাল শাক, পুঁই শাক, পালং শাক, কলমি শাক, শিম, টমেটো, বেগুন, লাউ, বরবটিসহ বিভিন্ন প্রকারের সবজি বীজ উৎপাদন করছেন জেলার কয়েক হাজার চাষি। চুক্তি মোতাবেক উৎপাদিত বীজ কিনে নেয় কোম্পানিগুলো, এছাড়া খোলা বাজারেও বিক্রি করেন কৃষকরা। এতে সবজির ধরন অনুযায়ী একর প্রতি ৩০ হাজার থেকে দেড় লাখ টাকা পর্যন্ত লাভ হয়। প্রতি মৌসুমে ২০০-৩০০ হেক্টর জমিতে বীজ উৎপাদন হচ্ছে।

গাংনী উপজেলার সাহারবাটি গ্রামের বীজ উৎপাদনকারী রফাত আলী জানান, ধান-পাট, সরিষা আবাদ করে লাভ হচ্ছে না। তাই বিভিন্ন সবজির বীজ উৎপাদন করছেন তারা। অন্য ফসলের তুলনায় এতে লাভ বেশি হলেও কোম্পানিগুলো টাকা দিতে হয়রানি করে।

কয়েক কৃষক জানান, এক বিঘা লাল শাক বীজ করতে খরচ হয় ৪ হাজার টাকা। ৭-৮ মণ বীজ উৎপাদন করা যায়। প্রতি মণ বীজ বিক্রি হয় ২২০০-২৩০০ টাকা। এছাড়া একই জমিতে পুঁই শাকের বীজ করতে খরচ হয় ১০০০০-১২০০০ হাজার টাকা, বিক্রি হয় ৩০-৩৫ হাজার টাকা।

লাল তীর সিড লিমিটেডের মেহেরপুর রিজিওনাল অফিসের প্রোডাকশন ম্যানেজার মজিবুর রহমান খান জানান, তাদের সঙ্গে ৩০০ জন কৃষক চুক্তিবদ্ধ। তারা বিভিন্ন ধরনের সবজি বীজ উৎপাদন করেন। চুক্তি অনুযায়ী, টাকা পরিশোধ বীজের ধরন দেখে ও পরীক্ষা করে তিন মাস থেকে এক বছর পর্যন্ত সময় নেয়া হয়।

মেহেরপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক স্বপন কুমার খাঁ বলেন, সবজি বীজ উৎপাদনে আগ্রহী কৃষকের সংখ্যা দিনদিন বাড়ছে। কৃষি অফিসের পক্ষ থেকে সবাইকে প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ, পরামর্শ ও সহযোগিতা দেওয়া হচ্ছে।