কুড়িল থেকে কাঞ্চন এক্সপ্রেসওয়ের অগ্রগতি ৮০ শতাংশ

অদম্য গতিতে চলছে এক্সপ্রেসওয়ের কাজ। রাজধানীর কুড়িল বিশ্বরোড থেকে কাঞ্চন ব্রিজ পর্যন্ত ১৩ কিলোমিটার আট লেন এক্সপ্রেসওয়ে নির্মান করা হচ্ছে। রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের অধীনে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী এই প্রকল্পের কাজ এগিয়ে নিচ্ছে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই এক্সপ্রেসওয়ে হবে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার অন্যতম এক্সপ্রেসওয়ে। যদিও এরই মধ্যে ঢাকা-মাওয়া-ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়ে নির্মান হয়েছে-যা দেশের প্রথম এক্সপ্রেসওয়ে। এক্সপ্রেসওয়েতে সার্ভিস লেন থাকে-যা দিয়ে হালকা যানবাহন চলাচল করতে পারে। ৮ লেনের কুড়িল বিশ্বরোড-কাঞ্চন ব্রিজ এক্সপ্রেসওয়ে দিয়ে এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে যেতে ৭-৮ মিনিট লাগবে।

ডুমনি, বোয়ালিয়া ও এডি-৮ খাল দিয়ে বিমানবন্দর, নিকুঞ্জ, বারিধারাসহ আশপাশে বৃষ্টির পানি নিষ্কাশন হতো। খালগুলো ভরাট হওয়ায় প্রকল্পের আওতায় সংস্কারের উদ্যোগ নিয়েছে রাজউক। চওড়া করা হচ্ছে আগে নির্মিত ৩০০ ফুট সড়ক।২০১৮ সালের ৪ নভেম্বর এ সংক্রান্ত প্রকল্প জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় অনুমোদন হয়। এটি ২০১৫ সালে অনুমোদিত ‘কুড়িল-পূর্বাচল লিংক রোডের উভয় পাশে (কুড়িল থেকে বালু নদ পর্যন্ত) ১০০ ফুট চওড়া খাল খনন ও উন্নয়ন’ প্রকল্পের সংশোধিত রূপ। প্রকল্পের ব্যয় ১০ হাজার ৩২৯ কোটি ৬৬ লাখ টাকা।

৩০০ ফুট সড়ক প্রশস্ত করে চার লেনের সড়কটি আট লেনের এক্সপ্রেসওয়ে করা হচ্ছে। প্রকল্পের আওতায় বৃষ্টির পানি নিষ্কাশনে চার কিলোমিটার লাইন, ১২টি ওয়াটার বাসস্ট্যান্ড নির্মাণ করা হচ্ছে, হচ্ছে ১২টি ওভারব্রিজ।

কুড়িল বিশ্বরোড থেকে কাঞ্চন ব্রিজ অংশ বদলে দেওয়ার কাজ কতটা এগিয়েছে জানতে চাইলে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ- রাজউক এর চেয়ারম্যান এ বি এম আমিন উল্লাহ নুরী শুরুতেই বেশ খুশি হন।

তিনি বলেন, আমি এখনো প্রকল্প এলাকায় আছি। প্রকল্পে এক্সপ্রেসওয়ে নির্মানের কাজ ৮০ শতাংশের বেশি এগিয়েছে। আগামী মার্চের মধ্যে কাজ শেষ হয়ে যাবে। তবে আনুসাঙ্গিক কিছু কাজ সঙ্গতকারনে বাকি থাকতে পারে। এই এক্সপ্রেসওয়ে ও তার দুই পাশের খাল উন্নয়ন করার কাজ শেষ হলে বদলে যাবে পুরো এলাকা।

রাজউক এর প্রধান প্রকৌশলী উজ্জ্বল মল্লিক বলেন, আগামী জুন অবধি প্রকল্পের মেয়াদ আছে। রাজউক আবাসিক প্রকল্প নিয়ে আগে বেশি কাজ করেছে। এটা শহর উন্নয়নের কাজ। এই কাজ পাল্টে দেবে পুর্বাচলসহ আশপাশকে। বাণিজ্য মেলা চলছে। এই বাণিজ্য মেলা শুরুর আগে থেকেই কাজের গতি বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।

চলতে চলতে দেখা গেছে, আট লেনের এক্সপ্রেসওয়ের দুই পাশে হচ্ছে ১০০ ফুট করে দুটো খাল। খালের পাশেই সার্ভিস রোড। এক্সপ্রেসওয়েতে আছে ১০টি বড় সেতু, আছে ৩টি আর্চ ব্রিজ।