কমলা চাষে সফল লেবু মিয়া, তৈরি করেছেন ৬৫০ উদ্যোক্তা

মিষ্টি জাতীয় কমলা সাদকিসহ নানা প্রজাতির ফল উৎপাদন ও চারা করে সফল লেবু মিয়া। সংসারে এনেছেন স্বচ্ছলতা। দাঁড়িয়েছেন নিজের পায়ে। একটি উন্নয়ন সংস্থার পরামর্শে শুরু করেন চারা উৎপাদনের কাজ। এরপর আর পেছনে তাকাতে হয়নি লেবু মিয়াকে। কর্মসংস্থান সৃষ্টির পাশাপাশি তার হাতে তৈরি হয়েছে অন্তত ৬৫০ জন কৃষি উদ্যোক্তা।

২০১৩ সালে তিনি ভারতের দার্জিলিং থেকে দুটি সাদকি জাতের কমলার চারা সংগ্রহ করে রোপণ করেন। ওই চারা থেকে পর্যায়ক্রমে ৬০টি গাছ থেকে এখন পরিপূর্ণ ফল পেতে শুরু করেছেন। এই জাতের কমলার চাষ সাধারণত দেখা যায় ভারতের দার্জিলিংয়ে। পাহাড়ি ওই কমলার চাষ হচ্ছে নীলফামারীর সমতল ভূমিতে। জেলা সদরের কচুকাটা ইউনিয়নের কচুকাটা উচ্চবিদ্যালয়ের পাশে ‘মামুন নার্সারি’তে এই কমলার চাষ করেছেন লেবু মিয়া।

বর্তমানে তাঁর নার্সারিতে ১১০ প্রজাতির আমগাছ ছাড়াও রয়েছে ৬৮ প্রজাতির কমলা ও মাল্টার জাত। এ ছাড়া রয়েছে অ্যাভাকাডো, রামবুটান, ত্বীন, জয়তুন, চেরি, লংগানসহ দুর্লভ বিদেশি প্রজাতির গাছ ও চারা।

২০০১ সালে লেবু মিয়া বাড়ির পাশে মাত্র এক বিঘা জমিতে শুরু করেন ছোট্ট একটি নার্সারি। নিজ সন্তানের নামে নার্সারির নাম দেন ‘এ আর মামুন নার্সারি’। সেটি এখন ছড়িয়েছে ২৫ বিঘা জমিতে। লেবু মিয়া জানান, প্রতিবছর খরচ বাদে নার্সারি থেকে তার আয় হচ্ছে ১০ থেকে ১৫ লাখ টাকা। বর্তমানে নার্সারিতে প্রতিদিন ২০-২৫ জন শ্রমিক কাজ করেন।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপপরিচালক আবু বক্কর সিদ্দিক বলেন, নীলফামারীর মাটি লেবুজাতীয় ফল চাষের জন্য উপযোগী। এখানে আবহাওয়া ও মাটি অনুকূলে থাকায় প্রচুর মাল্টা ও কমলার চাষ হয়। পুষ্টিঘাটতি পূরণের পাশাপাশি পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করছে।