চট্টগ্রাম বন্দর ৩২ লাখ ১৪ হাজারের বেশি কনটেইনার হ্যান্ডলিং করার মাধ্যমে পণ্য হ্যান্ডলিংয়ে ১৩৫ বছরের রেকর্ড ভাঙতে সক্ষম হয়েছে বলে জানিয়েছেন বন্দর চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এম শাহজাহান।
রোববার (২ ডিসেম্বর) চট্টগ্রামের বারিক বিল্ডিং মোড় এলাকায় বন্দরের সার্ভিস জেটিতে কাণ্ডারি ৬ টাগবোট হস্তান্তর অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
বন্দর চেয়ারম্যান বলেন, ‘আমরা পণ্য হ্যান্ডলিংয়ে ১৩৫ বছরের রেকর্ড ভেঙেছি। এ বছর ৩২ লাখ ১৪ হাজারের বেশি কনটেইনার হ্যান্ডলিং করেছি। যা গত বছরের চেয়ে ১৩ দশমিক ১৯ শতাংশ বেশি। এ বছর ৪ হাজার ২০৯ জাহাজ হ্যান্ডলিং করতে সক্ষম হয়েছি। যা গত বছরের তুলনায় ১২ দশমিক ৮০ শতাংশ বেশি। আমাদের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা করোনার মধ্যে তাদের সর্বোচ্চ দিয়ে চেষ্টা করেছে। যার ফলে রেকর্ড ভঙ্গ করেছে।
তিনি বলেন, দুই থেকে তিন মাস পরে পতেঙ্গা কনটেইনার টার্মিনাল উদ্বোধন করতে পারবো। বে-টার্মিনালের কাজ শেষ হলে বড় জাহাজ দিন-রাত ভিড়তে পারবে। মাতারবাড়ীর ডিপ সি পোর্টে ১৮ মিটার ড্রাফটের জাহাজ আনতে সক্ষম হবো। মাতারবাড়ী হবে ট্রান্সশিপম্যান্ট হাব। ইতোমধ্যে চট্টগ্রাম ও ইতালি বন্দরের মধ্যে সরাসরি সার্ভিস চালু করেছি। এতে ব্যবসায়ীদের অর্থ ও সময় সাশ্রয় হবে।
তিনি আরও বলেন, বন্দর নিরলসভাবে কাজ করছে দেশের উন্নয়নের জন্য। জীবন ও জীবিকার সঙ্গে সমন্বয় করে বন্দরকে করোনাকালে ২৪ ঘণ্টা ৭ দিন চালু রেখেছিল। ফলে আমরা আমাদের কাঙ্খিত লক্ষ্যে পৌঁছাতে পেরেছি। সারাবিশ্ব যেখানে স্থবির হয়ে গিয়েছিল, পণ্য পরিবহন বন্ধ হয়ে গিয়েছিল, সেখানে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ তাদের কাজ চালু রেখেছিল। তাই আমাদের বন্দরে কোনো জাহাজ জট, কনটেইনার জট হয়নি। আমরা সবার সমস্যা সমাধান করার চেষ্টা করেছি। আমদানি-রফতানি নির্বিঘ্ন করতে অফডক, শিপিং এজেন্ট, এমএলও, ফিডার সার্ভিস, সড়কপথে কনটেইনার পরিবহনে করোনাকালে আগে থেকে সম্ভাব্য ব্যবস্থা নিয়েছি।
বন্দর চেয়ারম্যান বলেন, চট্টগ্রাম বন্দর আজকে বিশ্বে রোল মডেল। আগে জাহাজ বন্দরের বহিঃনোঙরে অপেক্ষায় থাকতে হতো। তা এখন করতে হচ্ছে না। জাহাজ সরাসরি চট্টগ্রাম বন্দরে প্রবেশ করতে পারছে। বন্দরে জাহাজের ওয়েটিং টাইম জিরো।