ইএফডিতে ভ্যাট দিয়ে ১০ হাজার টাকার পুরস্কার পেলেন ৬ জন

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) ডিসেম্বরে অনুষ্ঠিত ইএফডি লটারিতে চতুর্থ পুরস্কার হিসেবে ১০ হাজার টাকা করে জিতেছেন চট্টগ্রামের ছয়জন। তারা হলেন- সাতকানিয়ার এনামুল হক মানিক, হাটহাজারীর ইয়াছিন আরাফাত, মিরসরাইর মুহাম্মদ নাজমুল হাসান, আগ্রাবাদের মো. আলমগীর, হালিশহরের মো. নিজাম ও নঁওগার মো. সুমন আলী।

মঙ্গলবার (২৮ ডিসেম্বর) কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট চট্টগ্রামের কমিশনার মোহাম্মদ আকবর হোসেন বিজয়ীদের হাতে পুরস্কারের চেক তুলে দেন। পুরস্কার চালুর পর থেকে এবারই চট্টগ্রামে সর্বোচ্চসংখ্যক বিজয়ী পুরস্কারের জন্য আবেদন করেছেন।

ইএফডি ও এসডিসি বিষয়ে ব্যবসায়ী ও ভোক্তাদের সচেতনতা বাড়াতে নানা উদ্যোগ নিয়েছে কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট চট্টগ্রাম। ব্যাপক প্রচারণার পাশাপাশি ক্রিকেট সেলিব্রেটি আকরাম খানকে দিয়ে চট্টগ্রামের আঞ্চলিক ভাষা ও প্রমিত বাংলায় ইএফডির প্রচারণামূলক পোস্টার সাঁটানো হয়েছে নগরের আনাচে কানাচে। এর ফলে ইএফডি মেশিন ব্যবহারকারী প্রতিষ্ঠান থেকে পণ্য বা সেবা নিয়ে পুরস্কার বিজয়ী ১৪ জন ক্রেতার মধ্যে ৬ জন পুরস্কারের জন্য আবেদন করেছেন।

ইএফডিএমএস থেকে ইস্যু করা চালানের ভিত্তিতে লটারির মাধ্যমে আর্থিক পুরস্কার প্রদান নীতিমালা, ২০২০ অনুযায়ী বিজয়ীদের ইনভয়েস নম্বর, চালানের কপি, আইডি যাচাই করে তাৎক্ষণিকভাবে পুরস্কারের চেক হস্তান্তরের জন্য অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

অনুষ্ঠানে জানানো হয়- ভোক্তা বা ক্রেতা প্রদত্ত মূসক/ভ্যাট যাতে সরকারি কোষাগারে জমা নিশ্চিত হয়, সে লক্ষ্যে বিভিন্ন দোকানে ইলেকট্রনিক ফিসক্যাল ডিভাইস (ইএফডি) স্থাপন করা হয়েছে। প্রতিটি কেনা-কাটার পর ইএফডি মেশিন থেকে চালান নিলে ক্রেতা কর্তৃক পরিশোধিত ভ্যাট/মূসক সরকারি কোষাগারে জমা নিশ্চিত হবে। বন্দরনগরী চট্টগ্রামে ইতোপূর্বে স্থাপিত ৫২০টি মেশিনের পাশাপাশি আরও মেশিন স্থাপনের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। প্রতিটি ইএফডি মেশিন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের কেন্দ্রীয় সার্ভারের সঙ্গে অনলাইনে সংযুক্ত রয়েছে। এর ফলে ক্রেতাদের প্রদত্ত ভ্যাট সরকারি কোষাগারে জমা প্রদান নিশ্চিত হচ্ছে। ক্রেতা বা ভ্যাটদাতাদের উৎসাহিত করতে প্রতি মাসের ৫ তারিখে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড একটি বিশেষ লটারির আয়োজন করেছে। এ লটারিতে ১০১টি পুরস্কারের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।

ডেপুটি কমিশনার অনুরূপা দেবের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন যুগ্ম কমিশনার মুশফিকুর রহমান ও সেলিম শেখ।