করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে এখন পর্যন্ত ২৩ লাখের বেশি শিক্ষার্থী প্রথম ডোজের মাধ্যমে টিকার আওতায় এসেছে। মঙ্গলবার একদিনেই এক লাখ ৫৮ হাজার ৯৮৩ ডোজ টিকা দেওয়া হয়েছে। স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে পাঠানো টিকাদান বিষয়ক এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে মঙ্গলবার রাতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, এখন পর্যন্ত দেশে ২৩ লাখ ১৪ হাজার ৭৫০ স্কুলশিক্ষার্থী টিকার প্রথম ডোজ পেয়েছে। আর দ্বিতীয় ডোজ পেয়েছে ২ লাখ ৯০ হাজার ৫২৯ জন।
এদিকে শিক্ষার্থীসহ এখন পর্যন্ত দেশে প্রথম ডোজ দেওয়া হয়েছে ৬ কোটি ৯৪ লাখ ২৯ হাজার ৮০১ জনকে এবং দ্বিতীয় ডোজ পেয়েছেন ৪ কোটি ৭৬ লাখ ৩৯ হাজার ৪২৫ জন। গত ১ নভেম্বর রাজধানীর মতিঝিল আইডিয়াল স্কুলের নবম শ্রেণির দুই শিক্ষার্থীকে টিকা দেওয়ার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশে ১২-১৭ বছর বয়সী শিক্ষার্থীদের টিকাদান শুরু হয়।
স্বাস্থ্য অধিদফতর জানিয়েছে, মঙ্গলবার শিক্ষার্থীসহ প্রথম ডোজ দেওয়া হয়েছে ৪ লাখ ৮৬ হাজার ৭১৫ জনকে এবং দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া হয়েছে ৮ লাখ ১১ হাজার ২০২ জনকে। আর আজ ১ লাখ ৫৭ হাজার ৪৭ জন শিক্ষার্থীকে প্রথম ডোজ দেওয়া হয়েছে এবং ১ হাজার ৯৩৬ জন নিয়েছেন দ্বিতীয় ডোজ।
এতে আরও বলা হয়েছে, মঙ্গলবার দেশে আরও ১০ দশ জনকে টিকার বুস্টার ডোজ দেওয়া হয়েছে। যার মধ্যে পুরুষ ৬ জন এবং নারী ৪ জন। তাদের প্রত্যেককে ফাইজারের টিকা দেওয়া হয়েছে।
এর আগে, গত রোববার দুপুরে রাজধানীর মহাখালীতে বাংলাদেশ কলেজ অব ফিজিশিয়ান’স অ্যান্ড সার্জন’স (বিসিপিএস) মিলনায়তনে বুস্টার ডোজ টিকাদান কার্যক্রম উদ্বোধন করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
করোনার বুস্টার ডোজ দেওয়ার প্রথম দিনেই সরকারের ছয়জন মন্ত্রী এ টিকা নেন। এদিনেই তাদের পাশাপাশি বুস্টার ডোজ নেন আরো ৫৪ জন সম্মুখসারীর যোদ্ধা। এদের মধ্যে প্রথমে বুস্টার ডোজ নেন দেশের প্রথম করোনার টিকা গ্রহণকারী কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালের সিনিয়র স্টাফ নার্স রুনু ভেরোনিকা ডি কস্টা।