বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের নবসৃষ্ট ইন্টারভেনশনাল হেপাটোলজি ডিভিশনে (১৪ ডিসেম্বর) থেকে শুরু হলো ট্রান্সআর্টারিয়াল কেমোএম্বোলাইজেশন, সংক্ষেপে টেইস। লিভার ক্যান্সারের সর্বাধুনিক চিকিৎসাগুলোর অন্যতম হচ্ছে টেইস। এ পদ্ধতিতে ক্যাথল্যাবে লিভারের টিউমারে সরাসরি কেমোথেরাপী ইনজেকশন প্রয়োগ করে তারপর টিউমারের রক্ত সরবরাহ বন্ধ করে দেয়া হয়। ফলে টিউমারগুলো ক্রমেই ছোট হয়ে আসে। সাধারণত লিভারে অনেক টিউমার আছে এমনসব রোগীদের জন্য টেইস খুবই কার্যকর চিকিৎসা পদ্ধতি হিসেবে স্বীকৃত।
শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে একাত্তরের শহীদ বুদ্ধিজীবীদের স্মৃতির প্রতি এক মিনিট নিরবতা পালনের মাধ্যমে হেপাটোলজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. আব্দুর রহিমের সঞ্চালনায় উদ্বোধনী অনুষ্ঠানটি শুরু হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন হেপাটোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. আইয়ুব আল মামুন। অনুষ্ঠানের শুরুতে ইন্টারভেনশনারল হেপাটোলজি বিভাগের ডিভিশন প্রধান অধ্যাপক ডা. মামুন আল মাহতাব (স্বপ্নীল) বাংলাদেশে লিভার ক্যান্সারের বর্তমান প্রেক্ষাপট তুলে ধরেন এবং টেইস সম্পন্ধে সম্মানিত উপস্থিতিকে অবহিত করেন। পাশাপাশি তিনি ডিভিশনটিতে সামনে আরো নতুন নতুন ইন্টারভেনশন এবং লিভার বিষেশজ্ঞদের জন্য বিশেষায়িত ট্রেনিং প্রোগ্রাম চালু করার পরিকল্পনা সম্পর্কেও আলোকপাত করেন।
প্রধান অতিথীর বক্তব্যে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপাচার্য অধ্যাপক শারফুদ্দিন আহমেদ টেইসের মতো আধুনিক একটি চিকিৎসা পদ্ধতি চালু করার জন্য ইন্টারভেনশনারল হেপাটোলজি ডিভিশনকে ধন্যবাদ জানান। তিনি ডিভিশনটির কর্মকাণ্ডের ভূয়সী প্রশংসা করেন এবং এই ডিভিশনের সকল কার্যক্রমে তার সর্বাত্মক সহযোগীতার প্রতিশ্রুতি দেন। পাশাপাশি অধ্যাপক শারফুদ্দিন আহমেদ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে আর্ন্তজাতিক মানের গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনা, বিশ্বের বিভিন্ন দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো সঙ্গে কোলাবরেশন গড়ে তোলা এবং বিশ্ববিদ্যালয় একের পর এক আধুনিক ইন্টারভেনশন চালু করার মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়কে আর্ন্তজাতিক মানের একটি চিকিৎসা গবেষণা ও সেবা প্রতিষ্ঠানে উন্নতি করায় নিরলসভাবে কাজ করে যাওয়ার জন্য ইন্টারভেনশনারল হেপাটোলজি ডিভিশনের প্রতিষ্ঠাতার ডিভিশন প্রধান অধ্যাপক ডা. মামুন আল মাহতাবের (স্বপ্নীলের) ভূয়সী প্রশংসা করেন।