আজ থেকে আর আমাদেরকে কেরোসিন তেল, দিয়াশলাই খুঁজতে হবে না। সন্তানদের পড়ালেখাসহ অন্য কাজে আলোর অভাব হবে না। অন্ধকারে আর ভুতুড়ে অবস্থা থাকবে না। যেন শহরের মতো লাগছে। শেখ হাসিনার উসিলায় আমরা আলোকিত হলাম, আল্লাহ যেন তাকে ভালো রাখেন, সুস্থ রাখেন।
কথাগুলো নীলফামারীর জলঢাকা উপজেলায় নতুন বিদ্যুৎ সংযোগ পাওয়া সুবিধাভোগীদের। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্মদিন উপলক্ষে উপজেলায় বিদ্যুৎ সংযোগহীন ৭৫ পরিবারের সদস্যরা লাইন পাওয়ার পর এসব কথা বলেন।
নীলফামারী পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জলঢাকা অফিস জানায়, ২০১৫ সালে ওই অফিসের কার্যক্রম শুরু হয়। তাদের আওতাভুক্ত ৩০৩.৫২ বর্গ কিলোমিটার এলাকায় বর্তমানে গ্রাহক সংখ্যা ৬৬ হাজার ৮০০। ২০২০ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি শতভাগ বিদ্যুতায়িত উপজেলা হিসেবে স্বীকৃতি দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আরও জানানো হয়, চলতি সপ্তাহে প্রতিষ্ঠানের এজিএমের নির্দেশে অনুসন্ধানে উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে ৭৫টি বিদ্যুৎ সুবিধাবঞ্চিত পরিবার পাওয়া যায়। এ পরিবারগুলো নতুন সৃষ্টি। প্রধানমন্ত্রীর ৭৫তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে তাদের বিদ্যুৎ সংযোগ দেয়া হয়।
সুবিধাভোগী বিধবা তুলশী বালা, প্রতিবন্ধী মনোয়ার হোসেন ও রশিদা বেগম জানান, তাদের এক বেলা ভালো খাবারের সামর্থ্য নেই। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্মদিন উপলক্ষে তাদের সংযোগ খরচ ছাড়াই বিদ্যুৎ লাইন দেয়া হয়েছে।
একাধিক সুবিধাভোগী জানান, এতদিন কেরোসিন তেল না থাকলে তাদের ঘরে আলো জ্বলত না। ম্যাচের কাঠি না থাকলে এক বাড়ি থেকে আরেক বাড়ি খুঁজতে হতো। এখন তাদের দুঃখ কেটে গেল।
নীলফামারী পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি জলঢাকা জোনাল অফিস এজিএম কাজী মো. সেফাত রেজা ইবনে হক বলেন, ‘আলোর ফেরিওয়ালার মাধ্যমে নতুনভাবে চলতি সপ্তাহে আমরা ৭৫ জনকে খুঁজে পেয়েছি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর অঙ্গীকার কেউ অন্ধকারে থাকবে না। তাই প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিন উপলক্ষে তাদেরকে আলোকিত করা হয়েছে। তাদের মধ্যে প্রতিবন্ধী ও বিধবাসহ ১০টি দুস্থ পরিবারকে বিনামূল্যে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া হয়েছে।’
বিদ্যুৎ সংযোগ দেয়ার সময় উপস্থিত ছিলেন নীলফামারী পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি সদস্য সেবা এজিএম প্রকৌশলী মতিউর রহমান, ফোর্সম্যান কো-অর্ডিনেটর রুহুল আমিন, ওয়ারিং পরিদর্শক বেলায়েত হোসেন।