পায়রার মাধ্যমে ‘আল্ট্রা সুপার ক্রিটিক্যাল’ ক্লাবে বাংলাদেশ

আমদানির কয়লায় চালিত বাংলাদেশের প্রথম তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র পায়রা। এই মেগা প্রকল্পের মাধ্যমে বাংলাদেশ প্রবেশ করেছে আল্ট্রা সুপার ক্রিটিক্যাল প্রযুক্তি ক্লাবে। এখান থেকেই দেশের মোট চাহিদার ১০ শতাংশ বিদ্যুৎ যোগান দেয়া সম্ভব। প্রাকৃতিক সুবিধা কাজে লাগিয়ে পায়রাকে ‘বিদ্যুৎ হাব’ করার পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের।

পটুয়াখালীর কলাপাড়া ধানখালীতে, নদীপথে বহুদূর থেকেও চোখে পড়ে, ১৩২০ মেগাওয়াট ক্ষমতার পায়রা তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র। বিদ্যুৎ কেন্দ্রের কয়লা আসছে ইন্দোনেশিয়া থেকে। ২৫ হাজার টন কয়লা নিয়ে প্রতিমাসে এমন বড় জাহাজ আসে ৭-৮টি। পুরোটাই সুরক্ষিত পরিবেশবান্ধব ব্যবস্থা। বিদ্যুৎ কেন্দ্রের নিজস্ব জেটিতে খালাস হওয়ার পর কয়লা চলে যায় সংরক্ষণাগারে।

বড় পরিসরের ৪টি কোল ডোম রয়েছে বিদ্যুৎ কেন্দ্রের। মজুদ করা যায় ২ মাসের জ্বালানি। ৬৬০ মেগাওয়াট করে মোট ১৩২০ মেগাওয়াটের দুটি ইউনিটই এখন পুর্ণ ক্ষমতায় চলতে পারে। সেক্ষেত্রে এখান থেকেই যোগান দেয়া সম্ভব বর্তমান চাহিদার ১০ শতাংশ বিদ্যুৎ। যদিও এখন চলছে একটি ইউনিট।

পায়রা ১৩২০ মেগাওয়াট তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রকল্প পরিচালক শাহ্ আব্দুল মাওলা বলেন, পিজিসিভি যে লাইন করছে পদ্মা সেতু ক্রস করার জন্য সেজন্য আমাদের একটু সমস্যা হচ্ছে। তাই এখন আপাতত আমরা একটা করে ইউনিট চালাতে পারছি। আমরা এখন ইউনিট পাল্টিয়ে পাল্টিয়ে চালাচ্ছি। আরও একটা বছর এভাবেই চালাতে হবে। এরপরই আমরা ১৩২০ মেগাওয়াট উৎপাদনে যেতে পারবো।

পায়রাকে ঘিরে বড় পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের। বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, এখানে আমাদের আরও কিছু পরিকল্পনা আছে। ১২ হাজার মেগাওয়াটের একটা পরিকল্পনাও আছে। এছাড়া ভবিষ্যতে ২০ বছরের একটা পরিক্লপনা করছি। পায়রা পোর্ট কর্তৃপক্ষকে ড্রেজিংয়ের কাজ করতে হবে কারণ তাদের প্ল্যান অনুযায়ি আমরা আমাদের বিদ্যুৎ প্ল্যান করেছি। তারা ব্যর্থ হয়েছে সময়মত কাজ করতে।

পায়রা বিদ্যুৎকেন্দ্র চালুর মধ্য দিয়ে আল্ট্রা সুপার ক্রিটিক্যাল ক্লাবে প্রবেশ করেছে বাংলাদেশ। পুরো পৃথিবীতে এধরনের প্রযুক্তিতে বিদ্যুৎ উৎপাদনে আসার ক্রমতালিকায় বাংলাদেশ ১১তম। দক্ষিণ এশিয়াতে এমন বিদ্যুৎ কেন্দ্র আছে শুধু ভারতের।