আইএইএ পুরস্কার পেল বিনা

মিউটেশন ব্রিডিংয়ে অসামান্য অবদান রাখার জন্য আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থার (আইএইএ) এর সম্মাননা পেয়েছে বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিনা)।

সংস্থার আউটস্ট্যান্ডিং অ্যাচিভমেন্ট ক্যাটাগরিতে এ পুরস্কার অর্জন করে বিনা।

এ ছাড়া, প্ল্যান্ট মিউটেশন ব্রিডিং ও রিলেটেড বায়োটেকনোলজিতে অসামান্য অবদানের জন্য ‘উইমেন ইন প্ল্যান্ট মিউটেশন ব্রিডিং অ্যাওয়ার্ড’ পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন বিনার উদ্ভিদ প্রজনন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ও মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. শামছুন্নাহার বেগম।

অস্ট্রিয়ার ভিয়েনায় আইএইএর প্রধান কার্যালয়ে সংস্থাটির মহাপরিচালক রাফায়েল মারিয়ানো গ্রসি দেশটিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মুহাম্মদ আব্দুল মুহিতের কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে পুরস্কার দুটি হস্তান্তর করেন।

আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থা গত কয়েক বছর ধরে সদস্য রাষ্ট্রগুলোর মিউটেশন ব্রিডিং-এ অসাধারণ অবদান রাখার জন্য তিন ক্যাটাগরিতে পুরস্কার প্রদান করে আসছে।

ক্যাটাগরিগুলো হলো: আউটস্যান্ডিং অ্যাচিভমেন্ট, নারী বিজ্ঞানীদের মিউটেশন ব্রিডিংয়ে অনন্য অবদান এবং তরুণ বিজ্ঞানী পুরস্কার।

এ বছর ১৭৩টি সদস্য রাষ্ট্রের মধ্যে আউটস্যান্ডিং অ্যাচিভমেন্ট ক্যাটাগরিতে ১১ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান, নারী বিজ্ঞানীদের মিউটেশন ব্রিডিং ক্যাটাগরিতে ১০ জন নারী বিজ্ঞানী ও তরুণ বিজ্ঞানী ক্যাটাগরিতে ৭ জন তরুণ বিজ্ঞানী পুরস্কার পেয়েছেন।

এর আগেও ২০১৪ সালে বিনার বর্তমান মহাপরিচালক ড. মির্জা মোফাজ্জল ইসলাম মিউটেশন ব্রিডিংয়ে অসাধারণ সফলতা পুরস্কার পেয়েছিলেন।

এক প্রতিক্রিয়ায় বিনার মহাপরিচালক মির্জা মোফাজ্জল জানান, বিনার বিজ্ঞানীরা পরমাণু শক্তির শান্তিপূর্ণ ব্যবহারের মাধ্যমে মিউটেশন ব্রিডিং (কনভেনশনাল ব্রিডিং ও অন্যান্য উন্নত কলাকৌশলের সংমিশ্রণ) প্রয়োগ করে এখন পর্যন্ত ১৮টি ফসলের ৮৩টি মিউট্যান্ট জাতসহ সর্বমোট ১১৭টি উচ্চ ফলনশীল ও উন্নত গুণাগুণ সম্পন্ন জাত উদ্ভাবন করেছে।

এসব অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ বিনা ও বিনার বিজ্ঞানীগণ বিভিন্ন সময়ে দেশি ও আন্তর্জাতিক সংস্থা হতে পুরস্কৃত হয়েছেন বলে জানান মোফাজ্জল।