গেল এক যুগের সুনিদিষ্ট উন্নয়ন পরিকল্পনা ও তার সফল বাস্তবায়নে শক্ত ভীতের ওপর দাড়িয়ে বাংলাদেশের অর্থনীতি। ৬ শতাংশের বেশি ধারাবাহিক জাতীয় অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি সুফলও পেয়েছে বাংলাদেশ।
২০১৮ সালেই অর্জন করেছে স্বল্পোন্নত থেকে উন্নয়নশীল দেশ হওয়ার সব যোগ্যতা। এখন অপেক্ষা শুধু আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতির। আর এ সাফল্যও এসেছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বুদ্ধিদীপ্ত নেতৃত্বের হাত ধরেই।
বিশ্বে কোনটি স্বল্পোন্নত, কোনটি উন্নয়শীল বা কে উন্নত দেশ তা বিচার করে জাতিসংঘ। ৩ বছর পরপর দেশগুলোর মানব উন্নয়ন পরিস্থিতি, অর্থনৈতিক ভঙ্গুরতা এবং বার্ষিক গড় মাথাপিছু আয় এই তিনটি সূচক বিশ্লেষণ করে জাতিসংঘের কমিটি ফর ডেভলপমেন্ট-সিডিপি।
সেখানেই ২০১৭ সালের ২১শে মার্চ বাংলাদেশ প্রথমবারের মত স্বল্পোন্নত থেকে উন্নয়নশীল দেশ হওয়ার আবেদন করে। ২০১৮ সালের ১৭ই মার্চ সিডিপি ঘোষণা করে উন্নয়নশীল দেশ হওয়ার তিনটি সূচকেই এগিয়ে আছে বাংলাদেশ।
সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের সম্মাননীয় ফেলো ড. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘মানব সম্পদ উন্নয়নের মধ্যে আছে আমরা আমাদের মাতৃ মৃত্যুহার কতোটা কমাতে পারছি। আমাদের শিশু মৃত্যুহার কতোটা কমাতে পারছি। অর্থনৈতিক ভঙ্গুরতা, সেই ভঙ্গুরতা কতটুকু কমাতে পারছি। আমরা রপ্তানী বৈচিত্রকরণ করতে পারছি কিনা? এ সকল ক্ষেত্রে আমাদের অবশ্যই কিছুটা উন্নতি হয়েছে। এই করোনার সময়ে আমাদের কিছুটা প্রভাব পড়েছে।’
সুদূর প্রসারি পরিকল্পনার কারণে বাংলাদেশ অর্থনীতিতে করোনা মহামারির ধাক্কাও সামলে উঠেছে ভালো ভাবেই। পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম বলেন, ‘৬ষ্ঠ এবং ৭ম পঞ্চবাষিকী পরিকল্পনা কালে আমাদের সবচেয়ে বেশি প্রবৃদ্ধি অর্জন হয়েছে। আমরা ভারতকে পিছনে ফেলেছি আমাদের মাথাপিছু আয় এবং অনেক সূচকের ক্ষেত্রে। পাকিস্তানকে পিছনে ফেলেছি। সার্বিক বিবেচনায় বাংলাদেশ এখন দক্ষিণ এশিয়ার এক নম্বর দেশ।’
আর এমনি এমনি এসব সাফল্য আসেনি। এর পেছনে ছিল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বড় লক্ষ্য অর্জনের আকাঙ্খা। সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের সম্মাননীয় ফেলো ড. মোস্তাফিজুর রহমান আরও বলেনে, ‘বাংলাদেশকে উন্নত দেশ করার যে স্বপ্ন সেটাকে বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে অবশ্যই তিনি দুরদর্শিতার পরিচয় দিয়েছেন।’
পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম আরও বলেন, ‘যে কোন খসড়া যতই বড় হোক। তিনি সবটা দেখতেন। পাতা ভেঙ্গে রাখতেন কোথায় কি বলবেন। এরকম সরাসরি নির্দেশনা আমি প্রধানন্ত্রীর থেকে পেয়েছি। সবগুলো পরিকল্পনা দলিল করার সময়।’
এরই মধ্যে ২০২১ সালে এসেছে সিডিপি’র দ্বিতীয় স্বীকৃতি। আর কোনো সংকট না এলে আগামী ২০২৬ সালে বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশের পতাকা উড়বে একটি উন্নয়নশীল দেশ হিসাবে।