জেলার চার উপজেলায় চারা রোপণের পর এখন বাগানের যত্নে ব্যস্ত সময় কাটছে তাদের। কৃষি বিভাগ বলছে, জেলার আবহাওয়া মাল্টা চাষের উপযোগী হওয়ায় ফলনও হচ্ছে ভালো।
সোনাগাজীর উত্তর চরসাহাভীকারী গ্রামের সৌদি প্রবাসী মোশাররফ হোসেন সাড়ে চার একর জমিতে গড়ে তোলেন মাল্টার বাগান। তার বাগানের ২২শ মাল্টার গাছের মধ্যে ফল ধরেছে ১৪শ টিতে। ভালো দামে বিক্রিও করছেন।
মোশাররফের মতো মাল্টা বাগান করেছেন পরশুরাম উপজেলার নিজকালিকাপুর গ্রামের আরাফাত হোসেন চৌধুরী, মহিউদ্দিন চৌধুরীসহ আরও অনেকে। তারা জানান, চারা রোপণের দেড় থেকে দুই বছরের মধ্যেই ফল পাওয়া যায়। আর শুরু থেকেই তারা কৃষি অফিসের সহযোগিতা পাচ্ছেন।
২০১৫ সাল থেকে ফেনিতে ব্যক্তিগত উদ্যোগে মাল্টা চাষ শুরু হলেও, বাণিজ্যিক চাষ শুরু হয়েছে ২০১৮ থেকে। কৃষি বিভাগের তথ্যমতে, ফুলগাজী, পরশুরাম, ছাগলনাইয়া ও সোনাগাজী উপজেলার অনাবাদী ও পতিত জমিতে ৩০০ বাগানে মাল্টার চাষ হয়েছে।
স্থানীয় কৃষি বিভাগ বলছে, মাটি ও আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এখানে উৎপাদিত মাল্টার স্বাদও মিষ্টি।