সম্প্রসারিত রানওয়ে হচ্ছে সমুদ্রের ওপর

আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন করে তোলার লক্ষ্যে কক্সবাজার বিমানবন্দরের রানওয়ের সম্প্রসারণ প্রকল্প উদ্বোধনের দিনক্ষণ চূড়ান্ত হয়েছে। আগামী ২৯ আগস্ট সকাল সাড়ে ১০টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভার্চুয়ালি উদ্বোধন করবেন। এ লক্ষ্যে বিমানবন্দর এলাকায় ব্যাপক কর্মযজ্ঞ শুরু হয়েছে। এ প্রকল্পে ব্যয় হচ্ছে প্রায় এক হাজার সাড়ে ছয়শ কোটি টাকা।

উড়োজাহাজ নিয়ন্ত্রক সংস্থা বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক) জানিয়েছে, সম্প্রসারণ হতে চলা এক হাজার সাতশ ফুট দৈর্ঘ্যের এ রানওয়ের এক হাজার তিনশ ফুটই থাকবে সমুদ্রের ওপর। দূর থেকে মনে হবে সমুদ্রের মধ্যে ভাসছে বিমানবন্দরের রানওয়ে।

প্রকল্পের কাজ সম্পন্ন হলে এটি হবে দেশের চতুর্থ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর। এরই মধ্যে এ বিমানবন্দরের প্রথম দফার কাজ শেষ হয়েছে। এ বিমানবন্দরের রানওয়ের বর্তমান দৈর্ঘ্য ৯ হাজার ফুট। দ্বিতীয় পর্যায়ে এই রানওয়ের পরিধি বাড়িয়ে ১০ হাজার ৭০০ ফুটে উন্নীত করা হচ্ছে।

বেবিচক চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মফিদুর রহমান বলেন, কক্সবাজার বিমানবন্দর রানওয়ের কাজ সম্প্রসারণের পর এখানে ওঠানামা করতে পারবে পৃথিবীর বিভিন্ন ভারী উড়োজাহাজ।

আগামী ৫০ বছরের চাহিদা ও চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় এই রানওয়ে সম্প্রসারণ প্রকল্প কার্যকর করা হচ্ছে। রানওয়েটি কক্সবাজার বিমানবন্দরের মহেশখালী চ্যানেলের দিকে ল্যান্ড রিক্লেমেশন প্রক্রিয়ায় সম্প্রসারণ করা হবে। এ ধরনের রানওয়ে তৈরির ক্ষেত্রে প্রথমে সমুদ্রের তলদেশে ব্লক নির্মাণ করা হয়। পরে এর ওপর স্থাপনা তৈরি করা হয়। এ প্রক্রিয়ায় এবারই প্রথম দেশে কোনো রানওয়ে তৈরি হতে চলেছে। কক্সবাজার বিমানবন্দর রানওয়ে সম্প্রসারণ প্রকল্প গত ৬ জানুয়ারি সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সভায় অনুমোদন পায়।

বেবিচকের প্রধান প্রকৌশলী মো. আবদুল মালেক বলেন, এ প্রকল্প বাস্তবায়ন শেষ হলে দেশের ভাবমূর্তি ও মর্যাদা আরও বাড়বে এবং আকৃষ্ট হবেন দেশি-বিদেশি পর্যটক। রাজস্ব আদায়ও বাড়বে।

তথ্যসূত্র: সমকাল