মধুমালা তরমুজ চাষে কৃষকের সাফল্য

মোড়েলগঞ্জে নতুন প্রজাতির হলুদ জাতের মধুমালা নামের তরমুজ চাষ করে সফলতার পেয়েছে কৃষক জাকির শেখ। ঘুরিয়েছে সংসারের ভাগ্যের চাকা। অসময়ে হলুদ জাতের এ তরমুজ চাষে তিনি জনসাধারনের মনে সাড়া জাগাতে সক্ষম হয়েছেন।

উপজেলার পঞ্চকরণ ইউপির কৃষক জাকির শেখ এ বছর ২ একর ২০ শতক জমি নিয়ে শুরু করলেন তরমুজসহ মাছ ও সবজির চাষ। চাষাবাদকৃত তিন প্রজাতির তরমুজের মধ্যে হলুদ প্রজাতির ‘মধুমালা’ নামের তরমুজ অন্যতম। অন্য দুই প্রজাতি হল কালো ও বাংলালিংক ছাপা কালারের তরমুজ।

এর মধ্যে ১ একর ১০ শতক জমিতে করা হয়েছে আধুনিক পদ্ধতিতে তিন প্রজাতির তরমুজ চাষ। জমির ভেড়িতে বাঁশের মাঁচায় ঝুলছে তিন প্রজাতির তরমুজ। যা সবার দৃষ্টি কাড়তে সক্ষম হয়েছে। বাকী জমিতে রয়েছে বলসুন্দরি কুল, কাশমেরি কুল বাউকুলসহ ৩ প্রজাতির কুল চাষ। রয়েছে গলদা ও সাদা মাছের চাষ ও বিভিন্ন প্রজাতের সবজির চাষ।

জাকির শেখ জানান, মে মাসে রোপন করে জুলাই মাসে মধ্যে এর ফলন পাওয়া যায়। এ তরমুজের জীবনকাল ৬৫-৯০ দিন। রোদের তাপমাত্রা ও মাউশিং শিপট ছাড়া এ তরমুজ চাষ করা সম্ভব নয়। এ জমিতে তিনি এ বছরে ৪ হাজার তরমুজ উৎপাদন করতে সক্ষম হয়েছেন। বছরে তিনবার এ তরমুজ উৎপাদন করা সম্ভব। খুবই সুমিষ্ট। এ তরমুজ চাষ করে বছরে ৫-৬ লাখ টাকা উপার্জন করা সম্ভব।

তথ্যসূত্র: ডেইলি বাংলাদেশ