ডেস্ক রিপোর্ট: চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন (চসিক) কোরবানির ঈদ সামনে রেখে করোনাভাইরাসের মহামারীর মধ্যেই বন্দরনগরী চট্টগ্রামে ছয়টি পশুর হাট বসানোর অনুমতি দিয়েছে।
এর মধ্যে তিনটি স্থায়ী ও তিনটি অস্থায়ী পশুর হাট বসানোর অনুমতি দেওয়া হয়েছে বলে মঙ্গলবার গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন চসিকের প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম।
নজরুল ইসলাম বলেন, সাতটি অস্থায়ী পশুর হাটের অনুমোদন চাওয়া হয়েছিল তবে জেলা প্রশাসন তিনটির অনুমতি দিয়েছে। এবার স্থায়ী তিনটিসহ এবার মোট ছয়টি হাট বসবে চট্টগ্রাম বন্দরনগরীতে।
অস্থায়ী হাটগুলো হলো – নূর নগর হাউজিং সংলগ্ন কর্ণফুলী পশুর হাট, সল্টগোলা রেলক্রসিং এবং পতেঙ্গা বাটারফ্লাই পার্কের দক্ষিণে টিকে গ্রুপের খালি মাঠ।
এছাড়া নগরীর সাগরিকা, বিবিরহাট ও পোস্তারপাড়ে স্থায়ী গরু-ছাগলের হাটের ব্যবস্থা রয়েছে বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা।
এ বছর ২০ জুলাই চাঁদ দেখা সাপেক্ষে কোরবানির ঈদ হতে পারে। সেই হিসাব করে ১২ থেকে ২১ জুলাই অস্থায়ী হাটের অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম বলেন, আগামীকালই ইজারার বিষয়ে নোটিশ জারি করা হবে এবং এক সপ্তাহের মধ্যে ইজারা দেওয়া হবে।
তবে অস্থায়ী হাটের ক্ষেত্রে মহামারীর কারণে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন বেশ কিছু শর্ত জারি করে দিয়েছে।
শর্তগুলোর মধ্যে বলা হয়েছে, করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করতে হবে। হাটে প্রবেশ ও বের হওয়ার জন্য পৃথক রাস্তা রাখতে হবে। ক্রেতা-বিক্রেতা সবার মাস্ক পরিধান এবং শারীরিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে হবে। লাইন ধরে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে হাটে প্রবেশ ও বের হওয়া ব্যবস্থা করতে হবে।
এছাড়া হাট প্রধান সড়ক থেকে ১০০ গজ দূরে বসাতে হবে, যাতে যানবাহন চলাচলে সমস্যা না হয়। হাটের সীমানার বাইরে বা রাস্তায় কোনো পশু রাখা বা খুঁটি বসানো যাবে না।
হাটে ভেটেরিনারি চিকিৎসকের অবস্থান নিশ্চিত করার পাশাপাশি সিসিটিভি ক্যামরারও ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে বলা শর্তে।
চট্টগ্রাম বন্দরনগরীতে গতবছর কোরবানির ঈদে তিনটি স্থায়ী পশুর হাটের পাশাপাশি চারটি অস্থায়ী হাট বসানো হয়েছিল।