খুলনার করোনা হাসপাতালে জায়গা হচ্ছে না করোনা রোগীর। করোনা আক্রান্ত রোগীর চাপ সামলাতে এবার খুলনা জেনারেল (সদর) হাসপাতালে ৭০ শয্যার করোনা ইউনিটের যাত্রা শুরু হয়েছে।
রোববার (২০ জুন) সদর হাসপাতালে ৪ জন রোগী ভর্তির মাধ্যমে করোনা ইউনিটের যাত্রা শুরু করা হয়।
খুলনা সিভিল সার্জন ডা. নিয়াজ মোহাম্মদ রোববার দুপুর ১২টায় এ তথ্য জানান।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, হাসপাতালের ৩য় ও ৪র্থ তলার করোনা ইউনিটের জন্য অতিরিক্ত আটজন চিকিৎসক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া হাসপাতালের অন্য যেসব চিকিৎসক রয়েছেন তারা পালাক্রমে দায়িত্ব পালন করবেন।
এর আগে ১১ জুন খুলনা জেলা করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধ কমিটির বৈঠকে সদর হাসপাতালকে করোনা হাসপাতাল করা যায় কি না, তা নিয়ে আলোচনা হয়। গত বছর এই হাসপাতালে করোনা ইউনিট করার জন্য প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছিল। বসানো হয়েছিল অক্সিজেন প্ল্যান্ট। ১২টি আইসিইউ শয্যাও প্রস্তুত করা হয়েছিল। কিন্তু করোনার প্রভাব কমে যাওয়ায় তা বাতিল করা হয়।
করোনা রোগীর সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের করোনা ইউনিটে শয্যা সংকট দেখা দেওয়ায় সম্প্রতি সময়ে ১০০ শয্যার ইউনিটকে ১৩০ শয্যার করা হয়েছে। শয্যা সংখ্যা বৃদ্ধি করার পরও রোগীর সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় খুলনা সদর হাসপাতালে করোনা ইউনিট চালু করা হলো। এর ফলে কিছুটা হলেও স্বস্তি ফিরবে করোনা রোগী ও তাদের স্বজনদের।
এদিকে, করোনাভাইরাসের বিস্তাররোধে আগামী ২২ জুন (মঙ্গলবার) থেকে সাত দিনের জন্য খুলনা জেলা ও মহানগরীতে কঠোর লকডাউন আরোপ করা হয়েছে। এ সময় নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য, কাঁচামাল ও ওষুধ বহনকারী যানবাহন ব্যতীত কোনো গণপরিবহণ খুলনায় প্রবেশ করতে বা বের হতে পারবে না।
শনিবার (১৯ জুন) দুপুরে করোনাভাইরাস প্রতিরোধ সংক্রান্ত জেলা ও মহানগর কমিটির সভায় সভাপতির বক্তৃতায় জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হেলাল হোসেন এ সব সিদ্ধান্ত জানান।
তথ্যসূত্র: বাংলানিউজ