কুড়িগ্রামে আলুর বাম্পার ফলন, কৃষকের মুখে হাসি

কুড়িগ্রামের রৌমারীর ব্রহ্মপুত্রের চরাঞ্চলে আলুর ফলন বাড়ছে। ফলন বাম্পার হওয়ায় কৃষকের মুখে হাসি ফুটেছে। আলু চাষের ওপর কৃষকের আগ্রহ বাড়ছে। আলুর চাহিদা ও দাম বেশি হওয়ায় আলু চাষে বেকাররা স্বাবলম্বী হচ্ছেন।

দীর্ঘমেয়াদি শৈত্যপ্রবাহ না থাকায় এবং রোগ-বালাই কম হওয়ায় এবার প্রতি হেক্টর জমিতে ২০ থেকে ২৫ টন পর্যন্ত আলু উৎপাদন হচ্ছে। আলুর মধ্যে উচ্চ ফলনশীল জাত কারেজ, কার্ডিয়াল, স্টারিক্স, ডায়মন্ড, রুমানা, গ্রানুলা, কাবেরি রয়েছে।

স্থানীয় জাতের আলুর মধ্যে রয়েছে সাদা পাটনাই, চলিশা, শিল বিলাতি, লালপাকড়িসহ বিভিন্ন জাতের আলু। ৩০ থেকে ৩১ শতাংশের জমির আলু উৎপাদনে কৃষকের খরচ হয়েছে ১৫ থেকে ১৭ হাজার টাকা। আর এই জমি থেকে আলু উৎপাদন হয় ৮০ থেকে ১০০ মণ। বাজারে প্রতিমণ আলু ৫০০ থেকে ৫৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এতে কৃষকরা পাচ্ছেন অনেকটা ন্যায্যমূল্য। ব্রহ্মপুত্রের চরাঞ্চলের উৎপাদিত আলু বিদেশে রপ্তানি বাড়ানো, আলুর বহুমুখী ব্যবহার ও নানামুখী খাবার তৈরিতে সরকার নানা উদ্যোগ গ্রহণ করলে কৃষকরা আরও লাভবান হবেন।

স্থানীয় আলু চাষি আ. করিম জানান, জীবনে প্রথম ৪ বিঘা জমিতে আলু চাষ করেছি। আলুর বাম্পার ফলন হয়েছে। আমার ৪ বিঘা জমিতে ৩২ টন আলু পেয়েছি। এতে আমার উৎপাদন খরচ উঠে বেশ ভালোই হয়েছে।

উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, এ উপজেলায় গোলআলু চাষ খুবই কম হতো। এবার রৌমারীতে কয়েকজন বেকার যুবক যৌথভাবে ৬৫ হেক্টর জমিতে আলু চাষ করেন। বর্তমানে প্রতি হেক্টর জমিতে ২০ থেকে ২৫ টন পর্যন্ত আলু উৎপাদন করেছেন তারা।

এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শাহরিয়ার হোসেন জানান, রৌমারী চরাঞ্চলে আলুর চাষ খুবই কম হয়। এ অঞ্চলটি নিচু হওয়ায় তারা সরিষা আর বোরো ধান চাষে বেশি ভূমিকা রাখে। এজন্যই এলাকায় আলু চাষ কম হতো। এবার এ জনপদে প্রতি ৩০ থেকে ৩১ শতকের জমিতে আলু ১০০ মণ উৎপাদনে সক্ষম হয়েছে। এখানকার কৃষকদের আলু চাষের ওপর আগ্রহ বাড়ছে। আগামীতে ব্যাপক হারে আলু চাষ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলেও প্রত্যাশা করছেন কৃষি কর্মকর্তা শাহরিয়ার হোসেন।

তথ্যসূত্র: আলোকিত বাংলাদেশ