৭০ বিদ্যালয়ে পড়বে ঝরে পড়া ২১০০ শিক্ষার্থী

বগুড়ার নন্দীগ্রাম উপজেলার দুই হাজার ১০০ জন ঝরে পড়া শিক্ষার্থীর জন্য ৭০টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কার্যক্রম চালু করা হচ্ছে। এসব শিক্ষার্থীদের শিক্ষা উপকরণ হিসেবে বই, খাতা, কলম, ড্রেস, ব্যাগ ও উপবৃত্তি প্রদান করা হবে। এতে দরিদ্র, সামাজিক ও অর্থনৈতিক দুরবস্থাগ্রস্ত ও ভৌগোলিক প্রতিবন্ধকতার কারণে ঝরে পড়া শিক্ষার্থীরা এ শিক্ষা কার্যক্রমের আওতায় আসবে।

সূত্র জানায়, চতুর্থ প্রাথমিক শিক্ষা উন্নয়ন কর্মসূচির (পিইডিপি-৪) আওতায় উপজেলায় ঝরে পড়া ৮ থেকে ১৪ বছরের দুই হাজার ১০০ শিশুর জন্য ৭০টি উপানুষ্ঠানিক প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাধ্যমে ৪২ মাস এ শিক্ষা কার্যক্রম চলবে। শিক্ষার্থীদের শিক্ষা উপকরণ হিসেবে বই, খাতা, কলম, ড্রেস, ব্যাগ ও উপবৃত্তি প্রদান করা হবে। প্রতিটি বিদ্যালয়ে একজন শিক্ষকের মাধ্যমে সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত পাঠদান কার্যক্রম চলবে।

বুধবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে উপজেলা অডিটোরিয়ামে নন্দীগ্রামে ঝরে পড়া স্কুল শিশুদের (আউট-অব-স্কুল চিলড্রেন এডুকেশন প্রোগ্রাম) শিক্ষা বাস্তবায়ন কর্মসূচি বিষয়ক অবহিতকরণ কর্মশালা অনুষ্ঠানে এ তথ্য জানান অতিথিরা।

অভিভাবকদের দরিদ্রতা, সামাজিক ও অর্থনৈতিক দুরবস্থা, শিশুশ্রম ও ভৌগোলিক প্রতিবন্ধকতাসহ বিভিন্ন কারণে অনেক শিশু প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভর্তি হতে পারে না। এ কার্যক্রমের মাধ্যমে ঝরে পড়া শিশুদের উপানুষ্ঠানিক শিক্ষাব্যবস্থায় প্রাথমিক শিক্ষা দিয়ে তাদের শিক্ষার মূল ধারায় সম্পৃক্ত করতে সহায়তা করবে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোছা. শারমিন আখতার বলেন, ঝরে পড়া শিক্ষার্থীদের জন্য কেন্দ্র ও শিক্ষক নির্বাচন এবং শিক্ষা উপকরণ বিতরণে শতভাগ সততা নিশ্চিত করতে হবে। এর বিন্দুমাত্র ব্যত্যয় ঘটলে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।

জেলা উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরোর (জেউশিব্যু) সহযোগিতায় এ কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোছা. শারমিন আখতার। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলার জেউশিব্যুর সহকারী পরিচালক এএইচএম রবিউল ইসলাম, সহকারী জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার হেমায়েত আলী শাহ, উপজেলা শিক্ষা অফিসার আব্দুল কাইয়ুম প্রমুখ।

তথ্যসূত্র: জাগো নিউজ