প্রায় ১১ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত হয়েছে ঢাকা-মাওয়া-ভাঙ্গা সুপার এক্সপ্রেসওয়ে। দেশের প্রথম এই সুপার এক্সপ্রেসওয়ে দিয়ে মাত্র এক ঘণ্টায় ঢাকা থেকে মাদারীপুর পৌঁছানো যাবে। গত বছরের ১২ মার্চ চালু হয় এই এক্সপ্রেসওয়ে। সুবিশাল রাস্তা ও অপরূপ নির্মাণশৈলীর এই সুপার এক্সপ্রেসওয়ে দেখতে প্রতিদিন দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ছুটে আসেন অসংখ্য মানুষ। বদলে যাওয়া অঞ্চলটি এখন বিনোদন কেন্দ্র হয়ে উঠছে।
এক্সপ্রেসওয়ের দুটি সার্ভিস লেনের মাঝে দৃষ্টিনন্দন নানা প্রজাতির ফুলের গাছ সড়কের সৌন্দর্য আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। সুপার এক্সপ্রেসওয়ের মান এবং সৌন্দর্য দেখে গর্বিত এলাকাবাসী।
জানা গেছে, এই এক্সপ্রেসওয়েতে পাঁচটি ফ্লাইওভার, ১৯টি আন্ডারপাস এবং প্রায় ১০০টি সেতু ও কালভার্ট রয়েছে। আন্তর্জাতিক মানের এক্সপ্রেসওয়েটির ফলে বরিশাল বিভাগের ছয় জেলা, খুলনা বিভাগের ১০ জেলা এবং ঢাকা বিভাগের ছয় জেলার মানুষ সরাসরি উপকৃত হবে।
ঢাকা-মাওয়া-ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়ের ৫৫ কিলোমিটারের মধ্যে ঢাকা থেকে মুন্সীগঞ্জের মাওয়া পর্যন্ত ৩৫ কিলোমিটার দীর্ঘ এই সড়ক জেলার সিরাজদিখান, শ্রীনগর ও লৌহজং উপজেলার মধ্য দিয়ে গেছে।
এই এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণের ফলে রাজধানী ঢাকার সঙ্গে যোগাযোগ অনেক সহজ হয়েছে। এছাড়া সড়কের আশপাশে বিভিন্ন শিল্পকারখানা গড়ে উঠেছে। এক্সপ্রেসওয়েটিতে স্থানীয় ও ধীর গতি সম্পন্ন যানবাহনের জন্য দুটি পরিষেবা লেন রাখা হয়েছে, যাতে দ্রুতগতির যানবাহনগুলো নিরবচ্ছিন্নভাবে চলাচল করতে পারে। এক্সপ্রেসওয়েতে যানজট না থাকায় বাস ও ট্রাক দ্রুত গতিতে চলাচল করতে পারে।
এই এক্সপ্রেসওয়েতে পাঁচটি ফ্লাইওভার, চারটি রেলওয়ে ওভারব্রিজ ও চারটি বড় আকারের ব্রিজ রয়েছে। এখানে উল্টো পথে চলাচলের সুযোগ নেই এবং ইচ্ছেমতো ফ্লাইওভারে ওঠা-নামার পথ রাখা হয়নি।
তথ্যসূত্র: জাগো নিউজ