পাহাড়ে কৃষকদের ভাগ্য বদলাতে পারে বারি-২ জাতের কমলা

খাগড়াছড়ি পাহাড়ি কৃষি গবেষণায় উদ্ভাবন করা আকারে ছোটো ও গোলাকার বারি-২ জাতের কমলার চাষাবাদ বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। নিয়মিত ফলদানকারী উচ্চ ফলনশীল চাইনিজ জাতের কমলা বাণিজ্যিক ভিত্তিতে চাষাবাদ করা গেলে পাহাড়ে কৃষিজ অর্থনীতি আরো সমৃদ্ধ হতে পারে বলে জানিয়েছে কৃষি বিভাগ। এটি বর্তমানে বেশ জনপ্রিয়। কেবল খেতেই সুস্বাদু নয় এটি দেখতেও বেশ সুন্দর। বারি-২ এর মিষ্টতার পরিমাণ প্রায় ৯ শতাংশ। খাগড়াছড়ি পাহাড়ি কৃষি গবেষণা কেন্দ্রের মাতৃবাগানে এমন কমলার দৃশ্য চোখে পড়ে।

তবে কমলা জাতীয় ফলের গাছের ডাম্পিং, গ্রিনিং, গামোসিস রোগের সংক্রমণ বেশি। আক্রান্ত ফল সংগ্রহ করে পুড়িয়ে ফেলতে হবে বা মাটির গভীরে পুঁতে ফেলতে হবে। তবে ফল পাকার সাথে সাথে ফল সংগ্রহ করতে হবে। এছাড়া বাগানে ফেরোমন ফাঁদ ব্যবহার করে বাগানের পোকা দমন করা যায়।

খাগড়াছড়ি কৃষি গবেষণা কেন্দ্রের সূত্রে জানা যায়, পাহাড়ি কৃষি গবেষণার মাতৃবাগানে বারি কমলা-২ বা চাইনিজ কমলা গাছ রোপণ করা হয়েছে। বৈশাখ অর্থাৎ মে-জুনে রোপণের সময়। তবে পাহাড়ে নিয়মিত সেচের ব্যবস্থা করা গেলে বছরের অন্য সময়ও এই জাতের কমলার চারা রোপণ করা যায়। রোপণের ৩ থেকে ৪ বছরের মধ্যে ফলন পাওয়া যায়। সঠিকভাবে যত্ন ও পরিচর্যা করলে প্রতিটি গাছ থেকে কমপক্ষে ৫০০-৬০০টি কমলা পাওয়া সম্ভব। গবেষণা কেন্দ্রে রোপণকৃত মাতৃবৃক্ষে বর্তমানে প্রচুর ফল ধরেছে।

খাগড়াছড়ি পাহাড়ি কৃষি গবেষণা কেন্দ্রের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মুন্সী রাশীদ আহমদ জানান, খাগড়াছড়ি পাহাড়ি কৃষি গবেষণা কেন্দ্র বারি-২ জাতের কমলা উদ্ভাবন করে। এটি বর্তমানে দেশে একটু একটু করে ছড়িয়ে পড়ছে। এরই মধ্যে দেশের বেশ কয়েকটি জায়গায় বারি-২ কমলার চাষ হচ্ছে। ভবিষ্যতে কৃষকদের সামনে বারি-২ কমলার সম্ভাবনা তুলে ধরতে পারলে অত্যন্ত লাভজনক ফল হিসেবে পরিচিতি পাবে। বারি-২ কমলা একটি সৌন্দর্য বর্ধনকারী গাছ হিসেবেও বাড়ির আঙিনায় এবং ছাদেও চাষাবাদ করা যায়।
তথ্যসূত্র: বাংলা ট্রিবিউন