বাংলাদেশের পাটপণ্যে আগ্রহ বাড়ছে তুরস্কের

অপেক্ষাকৃত মানসম্পন্ন হওয়ায় বাংলাদেশের পাট ও পাটজাত পণ্যে আগ্রহ বাড়ছে তুরস্কের। দেশটি কার্পেট তৈরির ক্ষেত্রে বাংলাদেশের পাটকেই অগ্রাধিকার দিচ্ছে। ফলে সম্প্রতি দেশটিতে পাটের রপ্তানিও বেড়েছে। এ পরিস্থিতিতে তুরস্ক বাংলাদেশের এই খাতে বিনিয়োগেও আগ্রহ দেখাচ্ছে।

মঙ্গলবার বাংলাদেশে নিযুক্ত তুরস্কের রাষ্ট্রদূত মোস্তাফা ওসমান তুরান ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (ডিসিসিআই) সভাপতি রিজওয়ান রাহমানের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে এ আগ্রহের কথা জানান। রাজধানীর মতিঝিলে ডিসিসিআই ভবনে রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎকালে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য বৃদ্ধির উপায় নিয়েও আলোচনা হয়।

মোস্তাফা ওসমান তুরান বলেন, ‌‘তুরস্কের কার্পেট তৈরিতে বাংলাদেশে উৎপাদিত পাট অন্যতম কাঁচামাল হিসেবে ব্যবহার হয়। বাংলাদেশে উত্পাদিত পাটের গুণমান উন্নত হওয়ায় তুরস্কের উদ্যোক্তারা অধিক হারে পাট আমদানিতে আগ্রহী।’

তিনি উল্লেখ করেন, ‘২০২০ সালে তুরস্ক বাংলাদেশ থেকে প্রায় ৩০ কোটি মার্কিন ডলারের (প্রায় আড়াই হাজার কোটি টাকা) পাট আমদানি করে, যা দুই দেশের মোট বাণিজ্যের প্রায় অর্ধেক।’ এছাড়া বাংলাদেশের হালকা প্রকৌশল খাত, কৃষি খাতের যন্ত্রপাতি, তথ্যপ্রযুক্তি, জাহাজ নির্মাণ, জ্বালানি এবং ওষুধ খাতকে সম্ভাবনাময় উল্লেখ করে, এসব খাতেও বিনিয়োগের আগ্রহের কথা জানান।

তিনি উভয় দেশের বাণিজ্য সম্পর্ক উন্নয়নে ব্র্যান্ডিং কার্যক্রম বাড়ানো এবং চেম্বারগুলোর সম্পর্ক আরও বাড়ানোর ওপর গুরুত্ব দেন। এসময় ডিসিসিআই সভাপতি বাংলাদেশের রপ্তানিকৃত সুতার ওপর তুরস্ক সরকার কর্তৃক আরোপিত অ্যান্টি ডাম্পিং শুল্ক প্রত্যাহার আহ্বান জানান। একই সঙ্গে উভয় দেশের বাণিজ্যের পরিমাণ আরো বাড়াতে এ সংক্রান্ত সংলাপ আয়োজনে গুরুত্ব দেন।
তথ্যসূত্র: ইত্তেফাক