আন্তর্জাতিক বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে মঙ্গলবার বেক্সিমকোর এক সিনিয়র নির্বাহী জানিয়েছেন, চলতি মে মাস থেকেই করোনাভাইরাসের পরীক্ষামূলক ওষুধ রেমডেসিভির উৎপাদন শুরু করছে বাংলাদেশের অন্যতম বড় ওষুধ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান বেক্সিমকো।
২৯ এপ্রিল হোয়াইট হাউসে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে রেমডেসিভিরের কার্যকারিতার ‘সুস্পষ্ট প্রমাণ’ পাওয়ার কথা জানান যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অফ অ্যালার্জি অ্যান্ড ইনফেকশাস ডিজিজ’-এর পরিচালক এবং রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা বিশেষজ্ঞ ডা. অ্যান্থনি ফাউচি। একদিন পর ১ মে সে দেশের খাদ্য ও ওষুধ প্রশাসন এফডিএ রেমডেসিভিরকে জরুরি ব্যবহারের অনুমোদন দেয়।
৪ মে বাংলাদেশের ওষুধ প্রশাসন অধিদফতর জানায়, দেশের ছয়টি ওষুধ কোম্পানিকে নভেল করোনাভাইরাস বা কভিড-১৯ এর জন্য রেমডেসিভির উৎপাদনের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। ওই ৬ কোম্পানির একটি হলো বেক্সিমকো।
কোম্পানির চিফ অপারেটিং অফিসার রাব্বুর রেজা জানিয়েছেন, তাদের রেমডেসিভির ইনজেকশন হিসেবে শিরায় প্রবেশ করানোর জন্য তৈরি হচ্ছে। একজন রোগীর জন্য ৫ থেকে ১১ বোতল পরিমাণ ওষুধ গ্রহণ করতে হতে পারে। প্রতি বোতল ওষুধের দাম হতে পারে ৫ থেকে ৬ হাজার টাকা।
‘কেবল সমস্ত প্রক্রিয়া শেষে আমরা সুনির্দিষ্ট করে বলতে পারব, একজন রোগীকে ঠিক কী পরিমাণ ওষুধ দিতে হবে’ বলেন রাব্বুর রেজা।
ওষুধের উৎপাদন খরচের একাংশ বাংলাদেশ সরকার পরিশোধ করবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি। জানান, কেবলমাত্র দেশে ব্যবহারের জন্য এই মাসেই ওষুধটির উৎপাদন শুরু হবে।
চীনে রেমডেসিভিরের প্রথম ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল হয়। চীনের পাশাপাশি ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল শুরু হয় আমেরিকাতেও। মার্কিন এপিডোমলজিস্ট অ্যান্থনি ফাউচি দাবি করেন, যে সব করোনা-রোগীকে রেমডেসিভির দেওয়া হয়েছে, তারা অন্যদের থেকে ৩০ শতাংশ দ্রুত সুস্থ হয়েছেন। ফাউচির এই দাবি থেকেই করোনা-যুদ্ধে নতুন করে আশার আলো দেখেতে শুরু করেছেন বিজ্ঞানীরা।
রেমডেসিভিরের মার্কিন ট্রায়ালে আমেরিকা, ইউরোপ ও এশিয়ার ১০৬৩ জন রোগীর দেহে প্রয়োগ করা হয়েছিল ওষুধটি। সেখানে দেখা যায় ১০ দিনের সাধারণ চিকিৎসায় যা ফল মিলছে, পাঁচ দিনেই সেই কাজ করে দেখাচ্ছে রেমডেসিভির।