বিদেশ ফেরত ক্ষতিগ্রস্ত কর্মীদের এবং মৃত কর্মীর পরিবারকে পুনরেকত্রীকরণের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এরই অংশ হিসেবে মার্চ থেকে একটি পাইলট প্রকল্প হাতে নিতে যাচ্ছে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের অধীন ওয়েজ আর্নার্স ওয়েলফেয়ার বোর্ড। বিদেশ ফেরত কর্মীদের অর্থনৈতিকভাবে সমাজে পুনরেকত্রীকরণের লক্ষ্যে প্রাথমিকভাবে এই প্রকল্প হাতে নেওয়া হচ্ছে বলে কল্যাণ বোর্ড সূত্রে জানা গেছে। আগামী বোর্ড সভায় অনুমোদন পেলেই কাজ শুরু করা হবে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।
ওয়েজ আর্নার্স ওয়েলফেয়ার বোর্ড সূত্রে জানা যায়, দেশের ১৫টি জেলা বাছাই করা হয়েছে। এসব জেলা থেকে বিদেশ ফেরত ১০০ পুরুষ এবং ১০০ নারী কর্মীকে পুনরেকত্রীকরণের জন্য প্রাথমিকভাবে একটি পাইলট প্রকল্প নেওয়া হবে। এই পাইলট প্রকল্পের জন্য ব্যয় ধরা হয়েছে ২ কোটি টাকা। প্রাথমিকভাবে যে কয়টি জেলা থেকে অভিবাসনের হার বেশি, সেসব এলাকাকে প্রাধান্য দেওয়া হচ্ছে। এজন্য ডাটা সংগ্রহের কাজ করবে কল্যাণ বোর্ড। সংগৃহীত ডাটা হতে জেলাভিত্তিক তালিকা প্রস্তুতির কাজ নেওয়া হবে। একাজে সহায়তা করবে বিমানবন্দর ও কল্যাণ বোর্ডের আইটি শাখা।
পরিকল্পনা অনুযায়ী নারীদের জন্য মহিলা বিষয়ক অধিদফতরের সঙ্গে প্রশিক্ষণ বিষয়ে চুক্তি করার কথা ভাবছে বোর্ড। পুরুষ কর্মীদেরও প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। প্রাথমিকভাবে নির্বাচিতদের আনুমানিক ৪৫ দিনের একটি প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হবে। এই প্রশিক্ষণ কৃষি, খামার কিংবা সেলাই মেশিন ভিত্তিক হতে পারে বলে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে। তবে যোগ্যতা ও দক্ষতা অনুযায়ী নির্দিষ্ট খাতে পুনরেকত্রীকরণের কাজ করা হবে। এছাড়া পাইলট প্রকল্পটি সফল হলে দেশব্যাপী এই প্রকল্পের কাজ হাতে নেওয়া হবে বলেও জানা গেছে। এছাড়া একটি নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত মনিটরিং টিমের মাধ্যমে পরামর্শ দেওয়ার ব্যবস্থাও থাকছে প্রকল্পটির অধীনে।
এ বিষয়ে কল্যাণ বোর্ডের উপপরিচালক (কল্যাণ) শরিফুল ইসলাম বলেন, ‘পাইলট প্রকল্প হিসেবে আমরা কাজটি করতে চাচ্ছি। আগামী বোর্ড সভায় বিষয়টি উত্থাপন করা হবে। বোর্ড অনুমোদন দিলেই আমরা কাজ শুরু করবো।’ তিনি আরও বলেন, ‘বিদেশ ফেরত কর্মীদের উপযোগিতা হিসেবে প্রকল্পটি প্ল্যান করা হয়েছে। যোগ্যতা ও দক্ষতার ভিত্তিতে আমরা কাজটি করতে চাই।’