বিদ্যুৎকেন্দ্রটির নির্মাণের কাজ শুরু হয় ২০১৭ সালে। বাংলাদেশ, মালয়েশিয়া ও সিঙ্গাপুরের যৌথ প্রতিষ্ঠান এইচডিএফসি সিন-পাওয়ার লিমিটেড প্রকল্পটি বাস্তবায়নের কাজ করছে। তদারকিতে আছে বাংলাদেশ সরকার।
বর্তমানে প্রকল্পের ৮৫ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। আগামী জুন মাসের মধ্যে প্রকল্পের পুরো কাজ শেষ করার কথা। কিন্তু এর আগেই এপ্রিলে কাজ শেষ হবে বলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা আশা করছেন।
এখানকার ৫০ মেঘাওয়াট বিদ্যুৎ যুক্ত হবে ময়মনসিংহ শহরের কেওয়াটখালীস্থ জাতীয় গ্রিডে। প্রকল্প স্থান থেকে জাতীয় গ্রিডের দূরত্ব প্রায় পাঁচ কিলোমিটার। এর মধ্যে এক কিলোমিটার যাবে টাওয়ারের মাধ্যমে। বাকি চার কিলোমিটার যাবে মাটির নিচ দিয়ে। ট্রান্সমিশন লাইন নির্মাণের কাজও দ্রুত এগিয়ে চলছে। প্রকল্প বাস্তবায়নে স্থানীয় প্রকৌশলীদের সঙ্গে আছেন বিদেশি প্রকৌশলীরাও।
এইচডিএফসি সিন-পাওয়ার লিমিটেডের পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন শেখ মো. শফিকুল ইসলাম পিএসসি (অব.) জানান, সরকারের সব নিয়মনীতি মেনে এই কাজ চলছে। পরিবেশবান্ধব এই বিদ্যুৎ প্রকল্পে দু-তিন মাসের মধ্যে উৎপাদন শুরু হবে। প্রকল্পটির কারণে স্থানীয়ভাবে অনেক মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। বর্তমানে স্থানীয় শতাধিক ব্যক্তি এখানে কাজ করছে। তিনি জানান, বাংলাদেশে চলমান সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্পগুলোর মধ্যে এটি সবচেয়ে বড়।
সরকারের পক্ষ থেকে প্রকল্প পরিচালক হিসেবে আছেন ময়মনসিংহ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (দক্ষিণ) নির্বাহী প্রকৌশলী ইন্দ্রজিত দেবনাথ। তিনি বলেন, ‘বেসরকারি বিনিয়োগ ও সরকারি তদারকিতে প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হচ্ছে।’
প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে দেশের বিদ্যুৎ খাত যেমন শক্তিশালী হবে, তেমনি সুফল পাবেন ময়মনসিংহের মানুষ। বিশেষ করে সেখানে নতুন নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।