পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের হোম টেক্সটাইল প্রস্ততকারক প্রতিষ্ঠানগুলো এবারে খুব উপভোগ করেছে হেমটেক্সটিল প্রদর্শনীর শুরুটা, যেখানে আনুমানিক ৭০ হাজারেরও বেশি দর্শক আসে। বিশ্বের ৬৫টি দেশ থেকে আসা ২ হাজার ৯৫২ জন প্রদর্শকের নানারকম নতুন উদ্ভাবন এতে স্থান পায়। মেসে ফ্রাঙ্কফুর্ট আয়োজিত এই প্রদর্শনীতে দর্শনার্থীর সংখ্যাও ছিল রেকর্ডসংখ্যক। নতুন বছরের শুরুতেই নতুন আঙ্গিকে আয়োজিত এই প্রদর্শনী যেমন সাড়া ফেলেছে বিভিন্ন দেশের প্রদর্শকদের কাছে, তেমনি সমাদৃত হয়েছে হাজারো দর্শনার্থী দ্বারাও। সবাই এই বিষয়ে একমত যে, বাণিজ্যের এই শাখার জন্য হেমটেক্সটিল প্রদর্শনীটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ। হেমটেক্সটিলে অংশগ্রহণকারী বাংলাদেশি প্রদর্শকরা সুযোগ পায় সারা বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ক্রেতা এবং পণ্য প্রস্তুতকারকদের সঙ্গে সরাসরি তথ্য বিনিময়ের। এতে করে বহির্বিশ্বের বাজার যাচাই করাটাও যেমন সহজ হয়, তেমনি সহজ হয় নিজেদের পণ্যের মান যাচাই এবং মান উন্নয়নেরও।
বাংলাদেশ টেরি টাওয়েল এবং লিনেন ম্যানুফ্যাকচারিং অ্যান্ড এক্সপোর্টারস অ্যাসোসিয়েশনের পরিচালক মুহাম্মদ ইমরানুল এহসান জানান, গত চার বছর ধরে আমরা হেমটেক্সটিলে অংশ নিচ্ছি এবং প্রতি বছরই এর ফলাফলে আমরা সন্তুষ্ট। আমরা সামনের বছরেও নিশ্চিতভাবে অংশ নেব এই প্রদর্শনীতে।
রিজেন্ট টেক্সটাইল মিলের মার্কেটিং ডিরেক্টর মোহাম্মদ মাসুদ হোসেন তার মতামত জানান এইভাবে, ‘আমরা হেমটেক্সটিলে অংশ নিচ্ছি ২০০৪ সাল থেকে প্রতি বছর। আমাদের নিজেদের ক্রেতাদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগই শুধু না, এই প্রদর্শনী আমাদের সাহায্য করে নতুন সম্ভাবনা নিয়ে কাজ করতেও। এখানে আমরা এই খাতে আমাদের প্রতিযোগীদের কাজ দেখারও যেমন সুযোগ হয়, তেমনি তাদের ব্যবসার অবস্থাও আমরা জানতে পারি। নতুন ক্রেতাদের চাহিদা, এই সেক্টরে অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের কাজ, বাজারের ট্রেন্ড এবং সর্বোপরি ক্রেতাদের প্রতিক্রিয়া পেতেও সাহায্য করে।
বাংলাদেশ থেকে এবারে এসিএস টেক্সটাইল, অ্যাপেক্স উইভিং অ্যান্ড ফিনিশিং, মমটেক্স এক্সপো, নোমান টেরি টাওয়েলস, প্রিমিয়ার ১৮৮৮, রিজেন্ট টেক্সটাইল, শাবাব ফেব্রিক্স, সাদ মুসা ফেব্রিক্স, টাওয়েল টেক্স এবং যাবের অ্যান্ড যুবায়ের ফেব্রিক্স এতে অংশ নেয়।