‘শিশুদের জন্য আলাদা অধিদপ্তর হচ্ছে’

নারী ও শিশু বিষয়ে আমাদের অর্জন অনেক হলেও এখনো চ্যালেঞ্জ আছে। কারণ আমরা শিশু নির্যাতনকে শূন্যের কোঠায় নিয়ে যেতে চাই। এজন্য শিগগিরই শিশুর অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য আলাদা অধিদপ্তর হচ্ছে বলে জানিয়েছেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি এমপি।

বুধবার রাজধানীর কাওরানবাজারস্থ ইত্তেফাকের মজিদা বেগম মিলনায়তনে আয়োজিত ‘টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জন: শিশু অধিকার প্রতিষ্ঠায় চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় করণীয়’ শীর্ষক গোলটেবিল আলোচনায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

বেসরকারি সংস্থা অ্যাকশন ফর সোস্যাল ডেভেলপমেন্ট (এএসডি) ও দৈনিক ইত্তেফাক যৌথভাবে গোলটেবিল আলোচনার আয়োজন করে।

দৈনিক ইত্তেফাক সম্পাদক তাসমিমা হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বরিশাল-৫ আসনের সংসদ সদস্য বেগম জেবুন্নেছা আফরোজ, সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য বেগম ফজিলাতুন নেসা বাপ্পি এবং কামরুন নাহার চৌধুরী, সিনিয়র সচিব ও পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য (জিইডি) ড. শামসুল আলম ও শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব খোন্দকার মোস্তান হোসেন।

গোলটেবিল বৈঠকে স্বাগত বক্তব্য রাখেন এএসডির নির্বাহী পরিচালক জামিল এইচ চৌধুরী, আরো বক্তব্য রাখেন এএসডির উপ-নির্বাহী পরিচালক মো. মোজাম্মেল হক, বাংলাদেশ শিশু অধিকার ফোরামের পরিচালক আবদুস সহিদ মাহমুদ, ইউনিসেফের সামাজিক নীতি বিশেষজ্ঞ হাসিনা বেগম, উইমেন সাপোর্ট এন্ড ইনভেস্টিগেশন ডিভিশনের ডেপুটি পুলিশ কমিশনার ফরিদা ইয়াসমিন, আইএলওর প্রোগ্রাম অফিসার সৈয়দা মুনিরা সুলতানা, এসওএস শিশু পল্লীর জাতীয় উপপরিচালক ডা. মোঃ এনামুল হক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক রাশেদা রওনক খান, ইডিকো-এর কান্ট্রিডিরেক্টর জনি এম সরকার, আইনজীবি মেজাবিন মোশাররফ মৌ প্রমুখ। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন এএসডির ডিসিএইচআর প্রকল্পের প্রকল্প ব্যাবস্থাপক ইউকেএম ফারহানা সুলতানা।

মেহের আফরোজ চুমকি আরও বলেন, অনুসন্ধানে দেখা গেছে, একটি চক্র শিশুদের ভিক্ষা বৃত্তি এবং মাদক ব্যবসায় ব্যবহার করে। অনেক ক্ষেত্রে বাবা-মাও শিশুদের ভিক্ষা বৃত্তিতে ব্যবহার করে থাকে। এই ক্ষেত্রে সরকার কঠোর অবস্থানে রয়েছে। যারা এই ধরনের জঘন্য কাজ করবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
IMO0
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ এখন সবদিক দিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে। দেশ এখন খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ। দেশে দারিদ্রের হার কমে আসছে। দেশে ভিক্ষুকের সংখ্যা আগের তুলনায় কমে গেছে। আগে দেশে বাল্য বিবাহ ছিল অগণিত। বাল্য বিবাহ ঠেকাতে কিশোর-কিশোরী ক্লাব গঠন করে দেওয়া হয়েছে। সরকারের কার্যকর ভূমিকার কারণে বাল্যবিবাহ এখন কমে এসেছে। কোথাও কোন শিশু নির্যাতনের ঘটনা নজরে এলে সে বিষয়ে সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

মূল প্রবন্ধে ইউকেএম ফারহানা সুলতানা বলেন, টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যে মানবাধিকার এবং সুনির্দিষ্টভাবে শিশু অধিকার ওতপ্রোতভাবে জড়িত। বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যার অর্ধেকেরই বয়স ১৮ বছরের নিচে, অর্থাৎ শিশু। শিশুদের বিরুদ্ধে সকল প্রকার সহিংসতা, নির্যাতন ও শোষণ এবং শিশু পাঁচারের মত ঘৃণ্য তৎপরতার অবসান ঘটাতে হবে। এক কথায় শিশুদের অধিকার প্রতিষ্ঠা না হলে এসডিজির লক্ষ্যমাত্রা পূরণ সম্ভব না।