দ্রুত গতিতে রেলওয়ের উন্নয়ন ঘটছে জানিয়ে রেলমন্ত্রী মুজিবুল হক বলেছেন, উন্নয়নের কারণে রেলওয়েতে উত্তরোত্তর যাত্রীসংখ্যাও বাড়ছে। যেখানে বিগত ২০১৩-১৪ অর্থ বছরে ৬ কোটি ৪৯ লাখ যাত্রী রেলে যাতায়াত করেছিল সেখানে ২০১৬-১৭ অর্থ বছরে তা বেড়ে হয়েছে ৭ কোটি ৭৮ লাখ।
গতকাল রোববার জাতীয় সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্বে সরকারি দলের সদস্য মুহাম্মদ মিজানুর রহমানের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ কথা বলেন। বিগত ৪ বছরের বাংলাদেশ রেলওয়েতে ২৮ কোটি ৮ লাখ যাত্রী যাতায়াত করেছে বলেও পরিসংখ্যান তুলে ধরেন মন্ত্রী।
মুজিবুল হক জানান, রেলওয়েতে এখন প্রতিদিন ৮৮টি আন্তঃনগর ট্রেন, ১২৬টি লোকাল ট্রেন, ১৩২টি মেইল এক্সপ্রেস ও ডেমু ট্রেন এবং ৪টি আন্তঃদেশীয় ট্রেনসহ সর্বমোট ৩৫০টি ট্রেন পরিচালিত হচ্ছে। শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার ক্ষমতা গ্রহণের পর ২৭০টি কোচ এবং ইঞ্জিন আমদানির মাধ্যমে ইতিমধ্যে ১১৬টি নতুন ট্রেন প্রবর্তন করা হয়েছে। বর্তমানে আরো প্রায় ৭শটি কোচ এবং ইঞ্জিন আমদানি প্রকল্প চলমান রয়েছে। এ ছাড়া ই-টিকিটিং এবং অন-লাইন ব্যবস্থা প্রবর্তন করে যাত্রীদের টিকিট ক্রয় সহজ করা হয়েছে।
বেগম সালমা ইসলামের অপর এক প্রশ্নের জবাবে রেলমন্ত্রী বলেন, ২০০৯ সালের পর থেকে এ পর্যন্ত মোট ৮৪ হাজার ৮৯২ কোট ১৩ লাখ টাকা ব্যয়ে মোট ৭৫টি নতুন প্রকল্পগ্রহণ এবং ৯০ হাজার ৯১৯ কোটি ২৪ লাখ টাকা ব্যয়ে ৬৩টি সংশোধিত প্রকল্প অনুমোদন করা হয়। চলতি অর্থ বছরে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে রেলের জন্য থোকসহ ১০ হাজার ৮১৬ কোটি ৯৯ লাখ বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।
মন্ত্রী বলেন, ২০০৯ সাল থেকে এ পর্যন্ত ২৯৭ দশমিক ৯৮ কিলোমিটার নতুন রেলপথ নির্মাণ এবং ১১২৩ দশমিক ৭৪ কিলোমিটার রেলপথ পুনর্বাসন করা হয়েছে। এছাড়া অনেক নতুন রেলপথের সমীক্ষা সমাপ্ত হয়েছে। এ ছাড়া ঢাকা-চট্টগ্রাম দ্রুত গতির বুলেট ট্রেন, ঢাকা শহরের চারদিকে চক্রাকার ট্রেন চালুসহ নানাবিধ পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। প্রায় ১০টি নতুন প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে, অনেক সম্ভাবতা যাচাই কাজ সমাপ্ত হয়েছে। আগামী ২০২৫ সালের মধ্যে দেশের প্রায় প্রতিটি জেলাকে রেল নেটওয়ার্কের মধ্যে আনার লক্ষ্যে সরকার কাজ করছে বলে জানান তিনি।