মিষ্টির দোকানে কাজ করে মাধ্যমিকে সফল রণজিৎ

বেশ কয়েক বছর আগে বনগাঁর দরিদ্র পরিবারের ৫ বছরের অসহায় শিশু রণজিৎ দুমুঠো খাবারের জন্য দোকানে কাজ খুঁজছিল। বনগাঁর চাঁদা এলাকায় মিষ্টির দোকানে কাজও জুটে যায়। তবে মালকিন রুপা রায়ের শর্ত ছিল, কাজের পাশাপাশি রণজিৎকে পড়াশোনা করতে হবে। সেই শর্তে রাজি হয়ে শুরু হয় নতুন জীবন। ২ ছেলেমেয়ের মা রুপাদেবী রণজিৎকে নিজের ছোট ছেলে পরিচয় দিয়ে স্থানীয় প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভর্তি করে দেন। রণজিৎও রুপাদেবীকে ছোটমা বলে ডাকতে শুরু করে। দোকানের কাজের ফাঁকে চলতে থাকে পড়াশোনা। এইভাবে প্রাথমিকের গণ্ডী পেরিয়ে রণজিৎ চাঁদা ললিতমোহন হাইস্কুলে ভর্তি হয়। সকাল ৬টায় দোকান খুলে রাত ১০টা পর্যন্ত দোকানদারি। তার ফাঁকে যখনই কাজের চাপ কম থাকত, তখনই বই খুলে পড়াটা ঝালিয়ে নিত। আর রাত ১০টার পর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত নিরিবিলিতে পড়ত এই লড়াকু ছাত্র। ওর জন্য ২ জন গৃহশিক্ষকও রেখে দেন রুপাদেবী। গৃহশিক্ষকের বেতন–সহ পড়াশোনার যাবতীয় খরচ বহন করেছেন তিনি।  এভাবেই লড়াই চালিয়ে মাধ্যমিকে উত্তীর্ণ হলো রণজিৎ। তার সাফল্যে আপ্লুত রুপা রায়। জানালেন, ‘‌রণজিৎ আমার মান রেখেছে। ও যতদূর পড়াশোনা করতে চায় আমি ততদূর পড়াশোনা করাবো।’‌