জাজিরায় বারোমাসি বেবি তরমুজের বাম্পার ফলন

শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলায় বারোমাসি বেবি তরমুজের বাম্পার ফলন হয়েছে। বেসরকারি এনজিও শরীয়তপুর ডেভেলপমেন্ট সোসাইটি (এসডিএস) ও শরীয়তপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর বীজসহ অন্যান্য উপকরণ কৃষকদের মধ্যে বিনামূল্যে সরবরাহ করেন। সেই বীজ রোপনে বারোমাসি বেবি তরমুজ চাষ করে ভালো ফলন পেয়ে আর্থিকভাবে লাভবান হয়েছেন এ এলাকারা কৃষকরা।

শরীয়তপুর এসডিএস কৃষি ইউনিট ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর সূত্র জানায়, প্রথম বারের মত এ বছর শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলায় বারোমাসি বেবি তরমুজ আবাদ করা হয়েছে।

 

জাজিরা সেনেরচর ইউনিয়নের ছোট কৃষ্ণনগর গ্রামের কৃষক লুৎফর রহমান আকন বলেন, ‘এ বছর আমি ২০ শতক জমিতে বারোমাসি বেবি তরমুজ আবাদ করেছি । প্রতি শতক তরমুজ আবাদে দেড় হাজার টাকা খরচ হয়েছে। খরচ বাদে ৪ হাজার টাকা লাভ হবে। ২০ শতক জমিতে মোট খরচ ২২ হাজার টাকা, বিক্রি করেছি ৮০ হাজার টাকা। শরীয়তপুর ডেভেলপমেন্ট সোসাইটি (এসডিএস) ও জাজিরা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর বারোমাসি বেবি তরমুজ চাষে আমাকে সার্বিক সহযোগীতা করেছে। এ তরমুজ চাষ করে অন্য ফসলের চেয়ে বেশি লাভবান হয়েছি।’

এসডিএসর কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. খাজি আলম বলেন, ‘শরীয়তপুরে বারোমাসি বেবি তরমুজসহ কোনো তরমুজেরই চাষাবাদ আগে হতো না। এসডিএসর কৃষি ইউনিটের মাধ্যমে বীজসহ অন্যান্য উপকরণ জাজিরার কৃষকদের মধ্যে বিনামূল্যে সরবরাহ করেছি। কৃষি ইউনিটের তত্ত্বাবধানে কৃষক এ বছর প্রথম বারোমাসি বেবি তরমুজ আবাদ করে বাম্পার ফলন পেয়েছেন।’

 

তিনি বলেন, ‘বারোমাসি বেবি তরমুজ অল্প সময়ে বাম্পার ফলন দেয়। এ তরমুজে পোকার আক্রমণ হয় না। অন্যান্য ফসলের চেয়ে তিনগুণ বেশি ফলন পাওয়া যায়। প্রথমে জমি তৈরি করতে হয়। মাটি দিয়ে দেড় হাত চওড়া বেড তৈরি করতে হয়। প্রতিটি বেডে সার দিয়ে, প্লাষ্টিক মালস দিয়ে বেড মোড়নো হয়। পলিব্যাগে বিজ রোপন করতে হয়। চারা গজালে ৮ দিন পর মূল বেডে দেড় হাত অন্তর অন্তর চারা লাাগিয়ে দিতে হয়। লাগানোর দুই মাসের মাথায় তরমুজ বাজারে বিক্রি করা যায়।’

জাজিরা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা প্রশান্ত বৈদ্য বলেন,‘ জাজিরায় বারোমাসি বেবি তরমুজ আবাদে প্রচুর সম্ভাবনা রয়েছে। প্রথম বছর কৃষক বারোমাসি বেবি তরমুজ চাষ করে বাম্পার ফলন পেয়েছে। এ উপজেলার কৃষি উন্নয়ন ও উৎপাদন বৃদ্ধিতে বারোমাসি বেবি তরমুজ ব্যাপক ভূমিকা রাখবে বলে আমি বিশ্বাস করি। ’