সমন্বিত পদ্ধতিতে ধান-মাছ চাষে লাভবান চাষীরা

গাইবান্ধায় এক খরচেই ধানের জমিতে মাছের চাষ করে লাভবান হচ্ছেন চাষীরা। সমন্বিত পদ্ধতিতে মাছের জন্য বাড়তি খাবার প্রয়োজন হয়না। কৃষকদের দাবি, মৎস্য বিভাগ তৎপর হলে গাইবান্ধায় মাছের ঘাটতি পূরণ করা সম্ভব।

গাইবান্ধা সদরের পিয়ারাপুরের কৃষক সুইট ৫ বিঘা জমিতে ধানের আবাদ করেছেন। একই জমিতে করেছেন মাছের চাষ। এক খরচে দুই ফসল আর অধিক লাভ পেয়ে বেশ কয়েক বছর ধরে এ পদ্ধতিতে চাষাবাদ করছেন তিনি। তিনি জানান, ধান ও মাছ চাষ হচ্ছে। এক খরচে দুইটাই হচ্ছে। এইভাবে কোন ব্যক্তি পাঁচ বিঘা আবাদ করলে তার চলতে ফিরতে কোন সমস্যা হওয়ার কথা না।

সুইটের মতো এলাকার অনেকেই এখন এ পদ্ধতি অনুসরণ করে লাভবান হচ্ছেন। কিন্তু মৎস্য বিভাগের পক্ষ থেকে তেমন কোন সাড়া মেলে না বলে অভিযোগ উদ্যোক্তাদের। কৃষকরা জানান, সুইট ভাইয়ের পদ্ধতি দেখে আমরাও ধানের সঙ্গে মাছ চাষ শুরু করেছি। মাছ চাষে অনেক লাভ করা যায়। তবে, মৎস্য অফিস থেকে যদি কোন অনুদান দিতো, তাহলে আমরা বেশি করে করতে পারতাম। এবং অনেক কৃষকের মাঝে ছড়িয়ে দেওয়া যেত।

গাইবান্ধা সদরের সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা সঞ্জয় ব্যানার্জী বলেন, এই কার্যক্রমের অংশ হিসেবে আমরা ফিল্ডে গেলে তাদেরকে সহযোগিতা দেই। মাঝেমাঝে তাদের জন্য প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করি।

গাইবান্ধায় প্রতিবছর মাছের চাহিদা ৪৮ হাজার সাড়ে ৬শ মেট্রিক টন। আর উৎপাদন হয় ৩৮ হাজার দেড়শো ৩২ মেট্রিক টন। মৎস্য বিভাগ তৎপর হলে এই সাড়ে ১০ হাজার মেট্রিক টন মাছের ঘাটতি পূরণ করা সম্ভব বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।