ছাদজুড়ে ফলদ, ঔষধি ও সবজি চারার ছড়াছড়ি। যেন পুরো একটি বাগান। এখানে রয়েছে বিভিন্ন প্রজাতির ফলের সাতশ’ চারা। আর এসব রোপণ হয়েছে খোদ নীলফামারী জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের ছাদে। ব্যতিক্রমী এ উদ্যোগটি শুরু করেছেন জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সহকারী কমিশনার ও নেজারত ডেপুটি কালেক্টর (এনডিসি) আবু হাছান।
এ বিষয়ে এনডিসি আবু হাছান জানান, জেলা প্রশাসক (ডিসি) মোহাম্মদ খালেদ রহীমের তত্ত্বাবধানে ডিসি অফিসের ছাদে বাগান করার পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়। তিনি বলেন, দ্বিতীয় এবং তৃতীয় তলার ছাদ অব্যবহৃত থাকায় সেখানে কিছু করা সম্ভব বিষয়টি ভেবে জেলা প্রশাসকের সঙ্গে তত্ত্বাবধানে বাগান করার পরিকল্পনা গ্রহণ করি। এরপর শুরু করলাম চারা লাগানোর কাজ, যা অব্যাহত রয়েছে এখনো।
সরেজমিন দেখা গেছে, ছাদ বাগানে ড্রাগন, পেঁপে, কাগজি লেবু, চাইনিজ কমলা, শরিফা, স্ট্রবেরি, মরিচ (কাপসিকাম চিলি), সফেদা, ডালিম, লাল আঙ্গুর, করমচা, আমলকি, মাল্টা, টমেটো, মিষ্টি কুমড়া, লাউ, শীম, আম, পেয়ারা, সৌদি খেজুর, লিচু চায়না, কামরাঙ্গা, বরই, আলু বোখড়া, বেল গাছের চারা লাগানো হয়েছে।
আবু হাছান বলেন, ঔষধি গাছের চারার মধ্যে রয়েছে ঘৃত কুমারী, বহেরা, অর্জুন, হরতকি এবং আমের মধ্যে গৌড়মড়ি, বারী-৪, হাড়িভাঙ্গা, মৌলুদ, আম্প্রালী, কাইজি জাতের চারা। আর এসব চারা উৎপাদনে ব্যবহার করা হচ্ছে ভার্মি কম্পোস্ট ও গোবর সার।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ খালেদ রহীম বলেন, ছাদে বাগানের উপকারিতা আমরা সবাই পাব। বিশেষ করে গ্রীষ্মকালে তাপের যে প্রখরতা থাকে সেটি থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে; তাছাড়া ভবনটি শীতল রাখতে সহায়ক হবে বাগানটি। পুরো ছাদসহ নিচেও বাগান করার পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানান মোহাম্মদ খালেদ রহীম।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর নীলফামারীর অতিরিক্ত পরিচালক (শস্য ও সংরক্ষণ) কেরামত আলী জানান, গ্রীষ্মকালে ভবনটি শীতল থাকবে। বিশেষ করে টপ তলাটির উষ্ণতা কমে যাবে। এছাড়া বিষমুক্ত ফল ও সবজি ভোগ করা যাবে নিঃসন্দেহে। তিনি বলেন, এমনিতে আবাদি জমি কমে যাচ্ছে, সে হিসেবে ছাদগুলোকে উৎপাদন কাজে লাগানো যায়।