ধান ক্ষেতে মাছ চাষে সফল অধ্যাপক কবিরুল

শিক্ষা, শিক্ষকতাই নয় একজন সফল কৃষক ও মাছ চাষি হিসেবেও পরিচিত সহযোগী অধ্যাপক কবিরুল ইসলাম। তিনি সৃষ্টি করেছেন নতুন চমক। আর সেই চমক হচ্ছে বোরো ধান ক্ষেতে মাছ চাষ। আর এই পদ্ধতি তাকে দেখিয়েছে লাখ লাখ টাকা আয়ের পথ। শুধু মাছেই নয়, ধান চাষে অর্জন করেছেন সাফল্যে।

সহযোগী অধ্যাপক কবিরুল ইসলাম কুড়িগ্রাম জেলার চিলমারীর উপজেলার শরিফের হাট এলাকার মৃত আবদুল জলিল বিএসসির পুত্র। ৭ ভাই বোনদের মধ্যে তিনি ৫ম। ছোট বেলা থেকেই মানুষের উপকার করা কবিরুল ইসলামের একটি অভ্যাস ছিল, কারো বিপদ দেখলেই ছুটে যেত। পাশে দাঁড়াতো অসহায় মানুষের।

কবিরুল ইসলাম রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমএ পাশ করেন। পরে এলাকার টানে ফিরে এসে চিলমারী ডিগ্রী কলেজে শিক্ষকতা শুরু করেন। কলেজ সময় বাদ দিয়ে বাকি সময় অলস সময় কাটতো। মানুষটি নিজের স্ত্রীর পরামর্শে ২ একর জমিতে ধান চাষ শুরু করেন। পাশাপাশি রুই, কাতলা, মৃগেল, পুঁটি, বিটকাপ, বাটাসহ বিভিন্ন প্রজাতির চাছ চাষ করেন। আর প্রথম বারেই দেখেন সাফল্যের মুখ। সৃষ্টি করেন নতুন চমক। আর আয় করেন কয়েক লাখ টাকা। মাছে লাখ টাকা আয় করা ছাড়াও প্রতি বছর বোরো চাষে ঘরে তোলেন প্রায় ১ শত মন ধান।

শুধু তাই নয় সৃষ্টি করেন অনেকের কর্মসংস্থান। নিজের সুখের সাথে দেখান অন্যের সুখ। কবিরুল ইসলাম শুধু ধান ক্ষেতে মাছ চাষ করেই বসে থাকেননি। ক্ষেতের চারদিক উঁচু করে লাগিয়েছেন আম, লিচুসহ বিভিন্ন প্রজাতির গাছ। যা থেকেও প্রতি বছর আয় করছেন আরো কয়েক লাখ টাকা।

কবিরুল ইসলামের ধান ক্ষেত ও মাছ চাষ দেখতে গেলে দেখা যায় তিনি ধান ক্ষেতের উঁচু একটি স্থানে বসে মাছের খাদ্য দিচ্ছেন। এসময় তাকে বেশ কয়েকজন শ্রমিক সাহায্য করছে বিভিন্নভাবে। কেউ মাছের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করছেন, কেউ পানি দিচ্ছে, আবার কেউ কেউ মাছও ধরছেন, কেউবা ধান ক্ষেতের পরিচর্যা করছেন।

কথা হয় কবিরুল ইসলামের সাথে। তিনি বলেন, এর আগে এই জমি গুলোতে আবাদ করে ভালো ফসল পেতাম না পরে আমার এক আত্মীয় তৎকালীন কৃষি অফিসার বর্তমানে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর উপ-পরিচালক (উপ সচিব) রংপুর খন্দকার মোহাম্মদ নূরুল আমীন এর পরামর্শে আমি এই পদ্ধতি ধান চাষ সাথে ক্ষেতেই মাছ চাষ শুরু করি।

এ ব্যাপারে মৎস্য অফিসার ও কৃষি অফিসার এর সাথে কথা হলে তারা কোন মন্তব্য না করেই বলেন আমরা কয়েকদিনের মধ্যে সরেজমিনে দেখতে যাব।