মেগা প্রকল্পসহ চলমান ও নতুন প্রকল্পে পর্যপ্ত বরাদ্দের প্রস্তাব থাকছে আগামী ২০১৮-১৯ অর্থবছরের বাজেটে। অর্থ ও পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, আগামী ২০১৮-১৯ অর্থবছরে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) সম্ভাব্য আকার হতে পারে এক লাখ ৭৮ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে বৈদেশিক সহায়তা থেকে সংগ্রহ করার লক্ষ্য রয়েছে ৬৫ হাজার কোটি টাকা। বাকি এক লাখ ১৩ হাজার কোটি টাকা জোগান দেওয়া হবে সরকারের নিজস্ব সম্পদ থেকে। চলতি অর্থবছরের সংশোধিত এডিপি অনুমোদন হওয়ার পর নতুন এডিপি প্রণয়নের কাজ শুরু করেছে পরিকল্পনা কমিশন। এরই মধ্যে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় থেকে বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে।
অর্থমন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগ থেকে এডিপির প্রাথমিক হিসাব অনুযায়ী চলতি ২০১৭-১৮ অর্থবছরের তুলনায় আগামী এডিপিতে বরাদ্দ বাড়ছে ২৪ হাজার ৬৬৯ কোটি টাকা বা ১৬ শতাংশ। অন্যদিকে চলতি অর্থবছরের সংশোধিত এডিপির (আরএডিপি) তুলনায় আগামী অর্থবছরের এপিডির আকার বাড়ছে ২৯ হাজার ৬১৯ কোটি টাকা বা প্রায় ২০ শতাংশ। আগামী ১০ এপ্রিল অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বাজেট মনিটরিং ও সম্পদ কমিটির বৈঠকে এডিপির মূল আকার চূড়ান্ত হবে বলে অর্থমন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, জাতীয় নির্বাচনের কারণে আগামী অর্থবছরের এডিপিতেড়্গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়নে শুরুত্ব দিবে সরকার। ফলে এ খাতে পর্যাপ্ত বরাদ্দ দেওয়া হতে পারে।
এছাড়া সড়ক ও রেল যোগযোগ প্রকল্প পর্যাপ্ত বরাদ্দ রাখা হবে। তাছাড়া এডিপিতে বিদ্যুত্ খাতকেও গুরুত্ব দেওয়া হবে। আগামী এডিপিতে খুব বেশি নতুন প্রকল্প অন্তর্ভুক্তি হচ্ছে না। বড় আকারের চলমান প্রকল্পগুলো নির্বাচনের আগে দৃশ্যমান করতে নতুন এডিপিতে দেওয়া হবে পর্যাপ্ত অর্থ। পদ্মা সেতু, পদ্মা সেতুতে রেল সংযোগ, মেট্রোরেল, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুত্ কেন্দ্র, মহেশখালী কয়লা বিদ্যুত্ , কক্সবাজার পর্যন্ত রেল লাইন, পায়রা সমুদ্র বন্দর প্রকল্পে চাহিদা অনুযায়ি বরাদ্দ দেওয়া হবে।