বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট ও কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের যৌথ উদ্যোগে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পুষ্টি নিরাপত্তার লক্ষ্যে জাত উদ্ভাবন কর্মসূচির অর্থায়নে উন্নত জাত বিনাসরিষা-৪ চাষ করে সফলতা পেয়েছে কৃষকরা। বর্তমানে দেশে ভোজ্যতেলের প্রায় সবটাই আমদানি নির্ভর তবে বিনা সরিষা চাষ করে দেশের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশেও ভোজ্যতেল রপ্তানি করা সম্ভব বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবাসহ কয়েকটি উপজেলায় বেশ কয়েকটি গ্রামে বিনা পুষ্টি নিরাপত্তার লক্ষ্যে জাত উদ্ভাবন কর্মসূচির অর্থায়নে উন্নত জাতের বিনা-৪ সরিষা বপনে সফলতা পেয়েছে এলাকার কৃষকরা। মৌসুমের আমন বোরো ফসলের অতিরিক্ত এই সরিষা উৎপাদন করে যেমন কৃষকরা আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছে। তেমনি বর্তমানে ভোজ্যতেলের চাহিদা পূরণও সম্ভব। বর্তমানে বছরে ১৮ লাখ মেট্রিক টন ভোজ্যতেল আমদানি করে সরকারকে ১.৫ মিলিয়ন ডলার ব্যয় করতে হয় তারপরও বাজারে যে ভোজ্যতেলে পাওয়া যায় তাতে পামঅয়েল মিশানো থাকে। এদিকে উন্নত জাতির বিনাসরিষা আমন ও বোরো ফসলের মওসুম শেষে অতিরিক্ত ফসল হিসেবে প্রতি হেক্টর জমিতে ৮০/৮৫ দিনে ১৫ থেকে ১৮মন বিনা সরিষার ফলন পাওয়া যায়। এতে দেশের ভোজ্যতেলের চাহিদা অনেকটা পোষিয়ে নেওয়া সম্ভব বলে দাবি কৃষিবিদদের। বেশ কয়েকজন কৃষকরা জানান, মৌসুমী ফসল হিসাবে এ জাতের সরিষা চাষ করে এক দিকে যেমন ফলন বেশি হচ্ছে। অন্যদিকে অতিরিক্ত ফসল পাওয়া ফলে আর্থিকভাবে আমরা লাভবান হচ্ছি। আমার কৃষি অধিদপ্তরের সহযোগিতায় জেলার কয়েকটি উপজেলাতে বিভিন্নগ্রামে বোরো ও আমনধানে মধ্যবর্তী সময়ে বিনা-৪সরিষা চাষে অধিক ফলনে সারা পাচ্ছি। কৃষি সম্প্রসারণ ব্রাহ্মণবাড়িয়া বিভাগের উপপরিচালক আবু নাছের বলেন, বিনাসরিষা চাষে কৃষকদের মাঝে আগ্রহ বাড়ছে। তারা এ ফসল করে লাভবান হচ্ছে।
এই চাষে সফলতা পেতে সংশ্লিষ্টরা আরও সহয়তার হাত প্রসারিত করবে এমন প্রত্যাশা আমাদের। বিনা উপকেন্দ্র, কুমিল্লা উর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ও ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোসা. সিফাতে রাব্বানা খানম বলেন, বিনাসরিষা চাষ করে কৃষক যেমন লাভবান হবে দেশের আর্থিক উন্নয়ন ও হবে।