সিরাজগঞ্জে বোরো ক্ষেতের আগাছা দমনে এসিআই’র নতুন উদ্ভাবন জাম্প ব্যবহারে সফলতা

বোরো ক্ষেতের আগাছা দমনে এসিআই কোম্পানী নতুন জাম্প ওষুধ উদ্ভাবন করেছে। সিরাজগঞ্জ জেলার বিভিন্ন উপজেলায় নতুন এ প্রযুক্তি প্রয়োগ করে ভালো ফলাফল পাওয়া গেছে। ক্ষেতে বিভিন্ন ধরনের আগাছা ও ব্যাকটেরিয়া দ্রুত বংশ বিস্তার করায় কৃষকরা বিভিন্ন ধরনের কীটনাশক প্রয়োগ করেও ভালো ফলাফল পাচ্ছিলেন না তখন কৃষকদের জন্য এটি আশির্বাদ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

 

সংশি¬ষ্ট সূত্রে জানা যায়, সিরাজগঞ্জ জেলায় চলতি বছরে বোরো ধানের লক্ষ্য মাত্রা নির্ধারণ করা হয় ১ লাখ ৪০ হাজার ৮’শ ১০হেক্টর জমি। পর পর দু’দফায় বন্যার কবলে পড়ায় এবার কৃষকরা আটঘাট বেঁধে বোরো আবাদে নেমে পড়ে। কিন্তু শুরুতেই ধানক্ষেতে বিভিন্ন ধরনের আগাছা ও ব্যাকটেরিয়া লাল ও সবুজ রঙের অ্যাজোলা ও ক্ষুদ্র পানার আক্রমণ দেখা দেয়।

 

ক্ষেতে সার দিলেই তা খেয়ে ফেলছে পানা জাতীয় আগাছা ও ব্যাকটেরিয়া। অতিরিক্ত শ্রমিক দিয়ে আগাছাগুলো তুলে ফেললেও রাতারাতি তা আবারো গজিয়ে উঠায় কৃষকরা হতাশায় পড়ে যান। এছাড়া, শ্রমিকদের মজুরী ও ওষুধ কিনতে অতিরিক্ত টাকা খরচ করতে হচ্ছে। এতে বোরো আবাদে বিরুপ প্রভাব পড়ার আশংকায় পড়েছেন কৃষক।

এমতাবস্থায় স্থানীয় কীটনাশক ব্যবসায়ীদের পরামর্শ মোতাবেক এসিআই’র আগাছা নাশক জাম্প ওষুধ ব্যবহার করে কৃষকেরা আশাতীত ফলাফল পান। বহুলী ইউনিয়নের ব্রক্ষ্মখোলা গ্রামের ওমর ফারুক বলেন, আমার বোরো ক্ষেতে জাম্প ওষুধ ব্যবহার করায় পানাসহ অন্যান্য আগাছা সফলভাবে নির্মূল হয়েছে। এতে তিনি অত্যন্ত খুশি এবং এসিআই কোম্পানির নতুন এ উদ্ভাবনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। এছাড়া, ওমর ফারকের মতো একই গ্রামের আকতার হোেেসন, মিজানুর রহমানসহ বেশ কয়েকজন কৃষক এ ওষুধটি ব্যবহার করে সফলতা পেয়েছেন বলে জানায় স্থানীয়রা।

 

এসিআই’র কর্মকর্তারা বলেন, জাম্প নতুন একটি আগাছানাশক ওষুধ। এতে রয়েছে ২০শতাংশ মেটসালফিউরণ মিথাইল, যা আগাছা দমনে অত্যন্ত কার্যকরী। এব্যাপারে সিরাজগঞ্জ জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আরশেদ আলী বলেন, এ বছরই এ ধরনের আগাছার ব্যপকতা বৃদ্ধি পেয়েছে। এ আগাছা নিম্ন শ্রেণির উদ্ভিদ এবং দ্রুত বংশ বিস্তার করে। এ কারণে কৃষকরা ক্ষেতে সার দিতে পারছেন না। ধানের চারাও বড় হতে সমস্যা হচ্ছে। ইতিমধ্যে ধান গবেষনা ইনস্টিটিউটের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। তাদের নির্দেশনা মোতাবেক কাজ করা হবে। এসময় এসিআই কোম্পানির জাম্প নামক আগাছানাশক ওষুধটি ব্যবহারে কৃষকদের পরামর্শ দেন তিনি।